অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আগাম সবজি চাষে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জের উজ্জল কোঠা গ্রামের একজন সফল কৃষক প্রদীব। প্রতি বছরই প্রদিব শীতকালীন শিম, ফুলকপি, লালশাক, ধনেপাতা,মূলা, বেগুন, টমেটোহর শীতকালীন সবজি চাষ করে থাকেন।
চলিত মৌসুমেও তিনি শীতকালীন সবজি শিম, টমেটো, বেগুন, ধনেপাতা ও মূলা চাষ করেছেন। এ সবজি চাষ করে তিনি লাভবান হয়েছেন। বর্গা জমিতে সিম চাষ করে জীবন-জীবিকায় স্বচ্ছলতা ফিরেছে। তার এ সাফল্য দেখে আশে-পাশের কয়েকজন কৃষক তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে সিম চাষসহ অন্যান্য শীতকালীন আবাদে ঝুঁকছেন।
এ বছর তিনি দেড়কানি জমিতে সিম আবাদ করেছেন। প্রতিদিন ভোরে তিনি ছুটে যান তার সিম ক্ষেতে। ইতিমধ্যে জমিতে সিম ধরা শুরু করেছে, বাড়ছে তার স্বপ্নপূরণের আশা।
একইসঙ্গে স্বপ্নপূরণের আশা নিয়ে সিম বিক্রি করে লাভের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। বর্গা জমিতে সিম চাষ করে জীবন-জীবিকায় স্বচ্ছলতা এসেছে তার পরিবারের। গত বছরের তুলনায় এবার বেড়েছে তার চাষের হার।
কৃষক প্রদীব জানান, গত বছর আমি অন্যের ৮৫ শতাংশ জমি ১০ হাজার টাকায় পোষানি নিয়ে সিম চাষ করেছি। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে তার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়। এবারও বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এ বছরও ৭৫ শতাংশ জমি পোষষানি নিয়ে সিম চাষ করেছি।
এ পর্যন্ত তার কীটনাশক ও বদলি মিলে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সিম বাড়ি পর্যন্ত তার আরো ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। ক্ষেত রোগ মুক্ত ও আবহাওয়া অনুকূলসহ ভালো দাম থাকলে তার ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার সিম বিক্রি করা যাবে। পুরো খরচ বাদ দিলে বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হবে।
তবে এ উপজেলায় শুধু সিমই নয়, পাশপাশি নানা ধরনের সবজির আগাম চাষ বদলে দিচ্ছে চাষিদের ভাগ্য। তারা সিমের পাশাপাশি একই জমিতেই বেগুন, লাল শাক, মুলা শাক ও পাট শাক আবাদ করে বিঘা প্রতি আয় করছেন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।
এ প্রসঙ্গে পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম গোলাম সারওয়ার বলেন, এ অঞ্চলের চাষিদের সিম ও বেগুন চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। এ অঞ্চলের মাটি বেগুন ও সিম চাষের উপযোগী হওয়ায় চলতি মৌসুমে ২০ হেক্টর জমিতে আগাম সিম চাষ হয়েছে।
জাগরণ/এমআর