• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২০, ১০:৫১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৮, ২০২০, ১০:৫১ এএম

বদলে গেছে ঠাকুরগাঁও শহরের রাতের চেহারা

বদলে গেছে ঠাকুরগাঁও শহরের রাতের চেহারা

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওবাসীকে আলোকিত সড়ক উপহার দেয়ার অংশ হিসেবে স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে‍। যার ফলে বদলে গেছে শহরের রাতের চিত্র। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপদ বিভাগের দাবি, জেলা শহরের ৬ কিলোমিটার রাস্তায় এসব বাতি সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে।

১৯৬০ সালে ৮ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার যাত্রা শুরু  হয়।পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে ২য় শ্রেণীর পৌরসভা থেকে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয় এটি। পৌরবাসির নাগরিক সুবিধার অন্যতম উপাদান হিসেবে রাস্তায় লাইট থাকার কথা থাকলেও এখানে সড়ক লাইট তেমন একটা ছিলনা।ছিটেফোটা ২/১ টা লাইট থাকলেও পৌরবাসী তাতে সন্তুষ্ট ছিল না।রাত ১০ টার দিকে শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেলে বা হরতাল অবরোধের দিনে সন্ধ্যার পরপরই অন্ধকারে গহব্বরে হারিয়ে যেত ঠাকুরগাঁও জেলা শহর।এ সময়ে চুরি ছিনতাই সহ বিভিন্ন অপরাধ ঘটতো যত্রতত্র।

এ অবস্থা হতে পরিত্রাণের জন্য মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ শহরের পুরাতন বাসষ্ট্যান্ড হতে ঠাকুরগাঁও রোড বালিয়াডাঙ্গী মোড় পর্যন্ত ডিভাইডারের মাঝখানে সড়ক লাইট স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়।

ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের আন্তরিক চেষ্টায়  ৪ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ব্যায়ে জেলা শহরের ৬ কিলোমিটার রাস্তায় লাইট নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় গত আগষ্ট মাসে।ইতোমধ্যে প্রকল্পের নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে ।পুরাতন বাসস্ট্যান্ড হতে গোবিন্দনগর পর্যন্ত লাইটে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।বাকি কাজ শেষ করতে আরো ১৫দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ।

প্রকল্পের অর্ধেক অংশে ইতোমধ্যে ৩৫ ফুট লম্বা জিআই পাইপে রাস্তার উভয় পার্শে এলইডি লাইট স্থাপন করা হয়েছে ।এতে সন্ধ্যার পর আলোক উজ্জল হয়ে উঠছে জেলা শহর। আলোর ঝলকানিতে পাল্টে গেছে রাতের চিত্র। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন শহরে নাগরিকরা।

এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন,দীর্ঘদিন পরে হলেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার  সুদৃষ্টিতে আমরা আলোকজ্জল শহর পেয়েছি।সেই সাথে বদলে গেছে রাতের শহরের চিত্র।এখন মনোরম দৃশ্যপট তৈ‍রি হয়েছে।এজন্য ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানি সম্পদ মন্ত্রী ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
 
এ ব্যাপরে সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনসুরুল আজিজ বলেন, সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের অনুপ্রেরণায় আলোকিত সড়ক মুজিবর্ষের উপহার। ৬ কিলোমিটার রাস্তায় এ প্রকল্পটি নির্মিত হওয়ায় সাধারণ মানুষ রাতের বেলা নিশ্চিন্তে ও নিরাপদে চলাচল করতে পারবে ।সেই সাথে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।

জাগরণ/বিআই/এমআর