• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৪, ২০২০, ০৬:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৫, ২০২০, ০৭:৪১ পিএম

‘ভালো থাকার জন্যে ভাসানচর এসেছি’

‘ভালো থাকার জন্যে ভাসানচর এসেছি’

নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তাদের বহনকারী ৭টি জাহাজ ভাসানচরে পৌঁছায়। এদিন সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের বোট ক্লাব, আরআরবি  জেটি ও কোস্টগার্ডের জেটি থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে যাত্রা করে রোহিঙ্গা শরণার্থী বহনকারী জাহাজগুলো। 

নামপ্রকাশ না করার শর্তে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের প্রথমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ওয়্যার হাউজে ব্রিফিং করা হয়। এরপর প্রস্তুত রাখা ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয় তাদের।    

জানা যায়, কমপক্ষে এক সপ্তাহ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে তাদের রান্না করে খাওয়ানো হবে। ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০ জন, পুরুষ ৩৬৮ ও নারী ৪৬৪ জন। বৃহস্পতিবার দুটো জাহাজে ভাসানচরে আসা রোহিঙ্গাদের ১০১৯টি মালপত্রের লাগেজ ভাসানচরে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

নৌবাহিনী কর্মকর্তা আরো জানান, ‘কয়েকজন রোহিঙ্গা বলেছে— স্যার, ভালো থাকার জন্যে এ চরে এসেছি। ক্যাম্পে সন্ত্রাস, ইয়াবা ব্যবসার কারণে আর টিকতে পারছি না।’ 

দ্বীপটি বাসস্থানের উপযোগী করা, অবকাঠামো উন্নয়ন, বনায়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন ছাড়াও রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান, বেসামরিক প্রশাসনের জন্য অফিস ও আবাসিক ভবন, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ভবন, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে  তোলা হয়েছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি। পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে।

ভাসানচরে যেন এক লাখ এক হাজার ৩৬০ জন শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা এক হাজার ৪৪০টি।

উল্লেখ্য সরকারের উদ্যোগে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া ২২টি এনজিও রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা দিতে ভাসান চরে অবস্থান করছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট পরবর্তী মিয়ানমারে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে এদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এসব রোহিঙ্গারা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয় নেয়।

আরও পড়ুন