• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২১, ১২:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৬, ২০২১, ১২:০৪ পিএম

মিলছে না আঙুলের ছাপ, বিড়ম্বনায় ভোটাররা

মিলছে না আঙুলের ছাপ, বিড়ম্বনায় ভোটাররা

কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও কাঠের ক্রেচে ভর দিয়ে ভোট দিতে এসেছেন প্রতিবন্ধী চান মিয়া। কিন্তু ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) আঙুলের ছাপ না মেলায় পরপর দুবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাই ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ষাট বছর বয়সী এ বৃদ্ধ।

শুধু চান মিয়া নন, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দিতে এসে এমন বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব অনেকে। ইভিএমে আঙুলের চাপ না মেলায় ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তারাও। তবে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা আঙুলের ছাপ না মেলা ব্যক্তিদের বাড়ি থেকে সাবান-পানি দিয়ে ভালো করে আঙুল পরিষ্কার করে আবার ভোট দিতে আসার পরামর্শ দিচ্ছেন।

ভোট দিতে না পেরে আক্ষেপের সুরে প্রতিবন্ধী চান মিয়া বলেন, “দুইবার ভোট দিতে গেলাম। কিন্তু মেশিনে আঙুলের ছাপ উঠে না। ভোটকেন্দ্র থেকে বলছে বাড়ি থেকে সাবান-পানি দিয়ে আঙুল পরিষ্কার করে আসতে। আমি হাঁটাচলা করতে পারি না। ভোটকেন্দ্র অনেক খোঁজাখুঁজি করেও সাবান-পানি পেলাম না। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।”

ভোটকেন্দ্র থাকা জয়দেব নামের এক এজেন্ট জানান, যাদের বয়স পঞ্চাশের বেশি তাদের আঙুলের ছাপ মেলাতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। অনেকে আঙুলের ছাপ না মিলায় ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরে গেছেন।

ভোটকেন্দ্রের দায়েত্বে থাকা সংগীতা রানী জানান, প্রতিবন্ধী চান মিয়া দুইবার ভোট দিতে এসেছেন। বারবার চেষ্টা করেও তার আঙুলের ছাপ মেলানো যায়নি। তাই তাকে বাড়ি গিয়ে সাবান-পানি দিয়ে আঙুল পরিষ্কার করে আসতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, “আমরা কেন্দ্রে কেন্দ্রে খোঁজখবর নিচ্ছি। যাদের আঙুলের ছাপে সমস্যা হচ্ছে তাদের আঙুল ভালোভাবে পরিষ্কার করে ভোট গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আর ঠান্ডাও বেশি এ কারণেও সমস্যা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, শনিবার সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় ধাপে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছ পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা থাকলেও ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ভোট চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।