• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২১, ১০:০৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ১৯, ২০২১, ১১:০৭ এএম

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯.৫ ডিগ্রি

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস। গত কয়েক দিনে এখানে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ ফেরদৌস মাহমুদ জানান, সকাল ৬টায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গত কয়েক দিন দিন ও রাতের আবহাওয়ার ব্যবধান কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সকালে ও রাতে দেখা যাচ্ছে ঘন কুয়াশা। এর সঙ্গে রয়েছে উত্তরের হিমেল হাওয়া।

ইনচার্জ ফেরদৌস মাহমুদ আরো জানান, দেশে ২ ডিগ্রি থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে অতি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৪ ডিগ্রি থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলে হয় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। ৬ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হয়। ৮ ডিগ্রি থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকলে তাকে বলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ’।

বদলগাছী ছাড়াও নওগাঁ সদর, মহাদেবপুরসহ জেলার ১১ উপজেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাসে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। কয়েক দিন ধরে কিছুক্ষণের জন্য রোদের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উত্তাপ ছড়াতে পারছে না সূর্য।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, ঘন কুয়াশায় বোরো বীজতলা বিবর্ণ রং ধারণ করছে। দুর্বল হয়ে পড়ছে বিছন। এছাড়া কনকনে শীতে ইরি-বোরো রোপণ করতে পারছেন না কৃষকরা। পাকা সরিষাগাছ তুলে এনে রাখলেও রোদ না থাকায় তা শুকাচ্ছে না।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কুয়াশায় যাতে বীজতলার ক্ষতি না হয় সেজন্য উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এ ছাড়া রোপণ করা বোরো ক্ষেতের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সে বিষয়ও তদারকি করছেন।

বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের টেলি প্রিন্টার অপারেটর রিপন আহম্মেদ জানান, গত তিন দিন থেকেই এমন আবহাওয়া বইছে জেলা জুড়ে। এমন আবহাওয়া আরো কয়েক দিন থাকতে পারে। এ মাসের শেষ দিকে আরও একবার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।