• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২১, ০৯:৪৫ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২০, ২০২১, ১০:৩৯ এএম

৭৯০ গৃহহীনের ‘স্বপ্নের নীড়’

৭৯০ গৃহহীনের ‘স্বপ্নের নীড়’

‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’ এই স্লোগান সামনে রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রায় ৮০০  গৃহহীনের জন্য নির্মিত হচ্ছে স্বপ্নের নীড়।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের পাকা ঘর উপহার দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধ ও স্বপ্ন পূরণ হওয়ায় গৃহহীন পরিবারগুলোর মুখে ফুটেছে হাসি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়দেশ্বরী এলাকায় ২ দশমিক ৩৪ একর খাসজমি উদ্ধার করে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর নির্মাণকাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এখানে  নির্মিত হচ্ছে ৮৭টি ঘর।

স্থানীয় গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষরা পাচ্ছেন এই ঘর। যারা অন্যের জমিতে বা হাটের জমিতে বসবাস করতেন তাদের পুনর্বাসন হবে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এসব ঘর নির্মিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে নির্মিত ঘরগুলো হস্তান্তর উপলক্ষে জোরেশোরে চলছে ঘর নির্মাণ মাটি ভরাট, টিন লাগানো ও রঙের কাজ।

দুই কক্ষের প্রতিটি সেমি পাকা ঘর নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। গৃহহীন পরিবারের জন্য থাকছে টয়লেট, রান্নাঘর, নলকূপসহ দুই কক্ষের ঘর।

ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ উপজেলায় ৭৮৯টি ঘরের নির্মাণ এখন শেষ পর্যায়ে। সদর উপজেলায় নির্মিত হচ্ছে ৩৩৩টি ঘর, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৮৫টি, রানীশংকৈল উপজেলায় ৭০টি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৬৫টি এবং হরিপুর উপজেলায় ২৩৬টি।

২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে সারা দেশে জেলার ৭৯০টি ঘর হস্তান্তর করবেন  গৃহহীনদের মধ্যে ।

সুবিধাভোগী পরভীন বেগম বলেন, “আমরা এতদিন কেউ অন্যের জমিতে কেউ হাটের জমিতে থেকেছি। জমি কেনার সামর্থ ছিল না বলে বাড়িঘর তৈরি করতে পারিনি। যা  আয় হতো তা দিয়ে  এমন পাকা ঘর নির্মান করা কখনো সম্ভব ছিল না। প্রধানমন্ত্রী আমাদের এমন পাকা ঘর দিয়ে আমাদের স্বপ্ন পূরন করেছে।“

সদর উপজেলার ঢোলারহাট ইউপি চেয়ারম্যান সীমান্ত কুমার বর্মন নির্মল জানান, যেসব ভূমিহীনকে পূনর্বাসন করা হচ্ছে তারা কোনদিন এমন ঘর নির্মাণ করতে পারতেন না। সরকার তাদের পাকা ঘর নির্মান করে দেওয়ায় সরকারের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।“

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সদর উপজেলায় ৩৩৩টি ঘরের নির্মান কাজ শেষ পর্যায়ে। প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের ডিজাইন অনুযায়ী সবগুলো ঘর নির্মিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কাজের মান তদারকি করেন। ইতোমধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সহযোগিতায় সুবিধাভোগী নির্বাচন করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে ২ শতক জমি এবং তার উপর নির্মিত ঘরের চাবি শীঘ্রই হস্তান্তর করা হবে।

জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, ঠাকুরগাঁও জেলায় প্রায় ৭ হাজার ৮শ জন গৃহহীন হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এ জেলায় ৭৯০ জনকে পূনর্বাসনে গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।  আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব ঘর হস্তান্তর করবেন আনুষ্ঠানিকভাবে।  উদ্বোধনের পরপরই ভূমির দলিলপত্র ও নামজারির সবকিছু হস্তান্তর করা হবে এবং তারা বসবাসের পূর্ন অধিকার পেয়ে যাবে।