• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০১৯, ১২:৩৭ পিএম

আজও শ্রমিকদের বিক্ষোভ, বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল বন্ধ

আজও শ্রমিকদের বিক্ষোভ, বিমানবন্দর সড়কে যান চলাচল বন্ধ
 
সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে আজও রাজধানীর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের উত্তরা এবং মিরপুরের কালশীতে সড়ক অবরোধ করেছেন পোশাক শ্রমিকরা। এদিকে ৯ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন বিআরটিসির জোয়ার সাহারা ডিপোর চালক-শ্রমিকরা। তারা ডিপোর গেট তালা দিয়ে গাড়ি আটকে রেখেছে।

চতুর্থ দিনের মতো আজ মঙ্গলবার (৮ জানুয়ারি) উত্তরায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন পোশাক শ্রমিকরা। তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। ২২ তলা গার্মেন্টসের সামনে তাদের বিক্ষোভের কারণে কালশী এলাকায় রাস্তার একদিকে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

দক্ষিণখান থানার আটিপাড়া সংলগ্ন এপিএস গার্মেন্টের শ্রমিকরা এলাকায় ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানা গেছে। একই থানার চালাবন এলাকায় শ্রমিকরা জড়ো হয়ে মূল সড়কে ওঠার চেষ্টা করছে। চালাবন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় বিক্ষুব্ধরা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। সর্বশেষ জানা গেছে, দক্ষিণখান এলাকার নিপা গার্মেন্টেও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

উত্তরা মডেল থানার এসএই ইকবাল জানান, শ্রমিকরা আজও মূল সড়কে উঠে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে। তবে পুলিশি বাধার কারণে আসতে পারছে না। তারা ভেতরের সড়কগুলোয় বিক্ষোভ করছে। মূল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

দক্ষিণখান থানার এএসআই রফিক জানান,  দক্ষিণখান থানা এলাকায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। এতে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করছে।
 
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে কয়েকশ গার্মেন্টস শ্রমিক মিরপুরের কালশী এলাকায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন। এ সময় সড়কে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয়। ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কালশীতে বিক্ষোভের কারণে ২২ তলা গার্মেন্টের সামনের রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকারি মজুরি কাঠামো বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের মঙ্গলবার সকাল থেকে কালশীর ২২ তলা গার্মেন্টেসের পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় অবস্থান নেন। তাদের অবস্থানের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক করিম সাদ্দাম দৈনিক জাগরণকে বলেন, মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নের দাবিতে তারা মূল সড়কে অবস্থান নিয়েছে, এতে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আছেন। তারা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন।

বিআরটিসির শ্রমিকদের আন্দোলন
বিআরটিসির চালক-শ্রমিকরা ৯ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই আন্দোলনে নেমেছেন। তারা ডিপোর গেট তালা দিয়ে শত শত গাড়ি আটকে রেখেছেন। সকাল সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চালক-শ্রমিকরা ডিপোতে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন বলে জানা গেছে।
 

ডিপোর চালক মো মিজান দৈনিক জাগরণকে জানান, আমাদের ৯ মাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে। ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধের কথা দিয়েছিলেন পরিচালক। কিন্তু তা না পাওয়ায় সকাল ৭টা থেকে জোয়ার সাহারা ডিপোতে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে।

ডিপোর প্রশাসন বিভাগের একজন জানান, বিআরটিসির এই ডিপোর বর্তমান ম্যানেজার তার সময়ের সব মাসের বেতন শ্রমিকদের দিয়েছেন। কিন্তু আগের ম্যানেজারের সময় বকেয়া থাকা বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকরা আন্দোলন করছে।

আরআর/ এফসি