• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১, ০২:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১, ০২:৪৬ পিএম

দুই বছরের আইনি লড়াই শেষে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

দুই বছরের আইনি লড়াই শেষে চেয়ারম্যান নির্বাচিত

দুই বছরের আইনি লড়াই শেষে বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সামসুদ্দীন আহমেদ ছজু।

২০১৯ সা গোলাম সরোয়ার ফোরকানকে আইনি লড়াইয়ে হারিয়ে নির্বাচনের দুই বছর পর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সামসুদ্দীন আহমেদ ছজু। 

২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীকে বিজয়ী হন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। কিন্তু ঋণখেলাপির তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনে ওই বছরের ২১ এপ্রিল ফোকরানের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরাজিত প্রার্থী সামসুদ্দীন আহমেদ।

এ মামলায় বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের এক আদেশে বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সামসুদ্দীন আহমেদকে আমতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন। 

মামলার রায়ে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ফোরকানকে আমতলী উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে সামসুদ্দীন আহমেদকে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনকে গেজেট নির্দেশ প্রদান করেছেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে পটুয়াখালীর রূপালী ব্যাংকের শাখা থেকে নিজ নামে  এক বছর মেয়াদে ১৮ লাখ টাকা ঋণ তোলেন ফোরকান। যা সুদে-আসলে ২৪ লাখ টাকায় দাঁড়ায়। এছাড়া নিজের মালিকানাধীন বনানী ট্রেডার্সর নামেও এক বছরের মেয়াদে ঋণ তোলেন গোলাম সরোয়ার ফোরকান। যা সুদে-আসলে দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখে। যথাসময়ে এই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৪ সাল থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ খেলাপির তালিকা নাম ওঠে গোলাম সরোয়ার ফোরকানের।

২০১৯ সালের ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মনোনয়নপত্রে গোলাম সরোয়ার ফোরকান তার ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরপর নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।

পরে ওই বছরের ২১ এপ্রিল ফোরকানের ঋণ খেলাপির তথ্য সংযোজন করে বরগুনার যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালত ও উপজেলা নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী শামসুদ্দীন আহমেদ ছজু। পরে আদালত সব তথ্য যাচাই-বাছাই ও সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ফোরকানকে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ছজুকে আমতলীর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণা করে আদেশ দেন।

এ বিষয়ে শামসুদ্দিন আহমেদ ছজুর আইনজীবী জগদীশ চন্দ্র শীল বলেন, “গোলাম সরোয়ার তার ঋণ খেলাপির এসব তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হন। পরে আমার মক্কেল নিজেকে বিজয়ী ঘোষণার দাবি করে ফোরকানকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করেন। আদালত আজ এ রায় দেন।”

এ বিষয়ে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী আনিসুর রহমান, মো. শাহজাহান এবং আবদুর রহমান নান্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।