• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৪:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১, ০৪:০২ পিএম

টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য 

টায়ার পুড়িয়ে জ্বালানি তেল, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য 

দিনাজপুরের হাকিমপুরে টায়ার পুড়িয়ে তৈরি হচ্ছে জ্বালানি তেল। টায়ার পোড়ানোর ফলে একদিকে যেমন বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। অন্যদিকে মরছে পশুপাখি, গাছপালা ও মাছ। স্থানীয়দের অভিযোগের পরও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে এই টায়ার পোড়ানো কারখানা। 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছাতনী চারমাথা থেকে রাঙ্গামাটিয়া সড়কের পাশে একটি টায়ার পোড়ানো কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানে দেদারছে পোড়ানো হচ্ছে টায়ার। সেই টায়ার পুড়িয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে জ্বালানি তেল। আবার টায়ার পোড়ানোর কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বন। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, টায়ার পোড়ানো এই কারাখানার বিষাক্ত ধোঁয়ায় পরিবেশ মারাত্মক ভাবে দুষিত হচ্ছে। গাছ পালা দিন দিন মারা যাচ্ছে। টায়ার পোড়ানোর উৎকট গন্ধের কারণে এলাকায় বসবাস প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। 

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর শতাধিক ভুক্তভোগী হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের তিন মাস অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে।

তরিকুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী জানান, “ওই কারখানার পাশে আমার এক একর জমি রয়েছে। টায়ার পোড়ানোর কারণে আমার জমিতে উৎপাদিত ধানের চালে এক ধরণের দুর্গন্ধ হয়। আর সেই চালের ভাত খাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে বাজার থেকে চাল কিনতে হয়।” 

মশিউর রহমান নামের অভিযোগকারী জানান, কারখানাটির বর্জ্য পাশের তুলশিগঙ্গা নদিতে যাওয়া নাদীর মাছ ও অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। 

বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম বলেন, “কারখানাটির পাশের আমার জমি রয়েছে। ওখানে টায়ার পোড়ানোর কারণে এক ধরণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। ফলে আমার জমিতে কোনো কৃষি শ্রমিক কাজ করতে চায় না। বাধ্য হয়ে অল্প টাকায় জমি বর্গা দিয়েছি।” 

এ বিষয়ে কারখানাটির মালিক দীপক কুমারের সাথে কথা বললে তিনি কোন বক্তব্য না দিয়ে জানান, “আপনার কি সমস্যা সেটা বলেন, সমাধান করা হবে।”

হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নুর-এ আলম বলেন, “অভিযোগের প্রেক্ষিতে কারখানাটিতে অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। যেহেতু তাদের পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে তাই কারখানাটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।”