• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৮:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৮:৪১ পিএম

গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা

হাওরের ফসল রক্ষায় চলছে বাঁধ নির্মাণ

হাওরের ফসল রক্ষায় চলছে বাঁধ নির্মাণ

আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের ফসল রক্ষা করতে কিশোরগঞ্জের  ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রামসহ কয়েকটি উপজেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে ৫৪টি নতুন বাঁধ। চলবে আগের বাঁধগুলোর সংস্কার কাজও।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলেছে, বাঁধ নির্মাণে কোনো গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর বন্যার সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে ফসল রক্ষায় হাওরের চারপাশে বেষ্টনী তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। 

হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা সেটি দেখতে ওইসব উপজেলা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল মতিন সরকারের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি দল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ময়মনসিংহ পৌর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, কিশোরগঞ্জ জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান, কিশোরগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কামরুল হাসান, মিঠামইন শাখা কর্মকর্তা জোবায়েরসহ অন্যরা।

এ সময় বাঁধ নির্মাণে কোনো প্রকার গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন প্রধান প্রকেীশলী। তিনি বলেন, “কৃষকদের জমির ওপর দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। তাদের বুঝিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এজন্য কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ মাসের মধ্যে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হবে।”

এদিকে, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, “আগের বাঁধগুলো মেরামতের পাশাপাশি ৫৪টি নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ তদারকি করা হচ্ছে।”

সঠিক সময়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ফসল রক্ষায় হাওরের চারপাশে বেষ্টনী গড়ে তোলা হচ্ছে। তাই আশা করছি আগাম বন্যা হলেও জমিতে পানি ওঠার আগেই কৃষক তার ধান কেটে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন।”

পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে হাওরে নয় কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৩ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার নতুন ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ৫০ ভাগ কাজ।

এবার কিশোরগঞ্জে এক লাখ ৬৬ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।