• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৮:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৮:১১ এএম

কবুতর পালন: শখ থেকে সচ্ছলতা

কবুতর পালন: শখ থেকে সচ্ছলতা

কবুতর পালন, সৌখিন মানুষের শখের অংশ। কাজের ফাঁকে সময় করে কবুতরের খামার করা এক সময় ছিল শখ। কিন্তু এই শখ এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। কবুতর খামার করে এখন লাভবান হচ্ছেন অনেকে। তাই শখের কবুতর খামার তৈরি এখন বাণিজ্যিক খামারের রূপ নিয়েছে।

এমনই চিত্র নওগাঁর জেলার বদলগাছী উপজেলা সদরের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের। তিনি বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলেছেন সৌখিন কবুতরের খামার। এ খামার করে বেশ লাভবানও  হয়েছেন। তার সংসারে এসেছে সচ্ছলতা। এতে বেশ খুশিও তিনি। তার এই খামার দেখে আগ্রহও প্রকাশ করছেন অনেকে।

বদলগাছি উপজেলা সদরের জিয়ল মহল্লার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। বছর খানেক আগে মাত্র ৫টি সৌখিন কবুতর নিয়ে বাড়িতেই শুরু করেন কবুতর পালন। সেই কবুতর থেকে এখন একটি পূর্ণাঙ্গ খামার হয়েছে তার। যেখানে রয়েছে ৫শ কবুতর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির দু’টি ঘরে সারি সারি খাঁচা। মোট একশটি খাঁচায় রাখা আছে এসব কবুতর। কবুতরের ডাকে মুখরিত পুরো বাড়ি। বাড়ির কাছাকাছি গেলেই শোনা যায় কবুতরের ডাক। কোন খাঁচায় ডিম, কোন খাঁচায় রয়েছে সদ্য প্রস্ফুটিত বাচ্চা আবার কোন খাঁচায় দেখা যাচ্ছে বেড়ে উঠা কবুতরের ছোট বাচ্চাগুলোকে। মা কবুতর নিজেদের খাবারের  পাশাপাশি বাচ্চাদের খাওয়াতে ব্যস্ত।

জাহাঙ্গীর আলম জানান, খামারটি এখন বেশ লাভজনক। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৩০ হাজার টাকা লাভ থাকে। যা দিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। এ কাজে সহযোগিতা করেন তার স্ত্রীও।

কবুতর নিয়ে জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রতিদিনের খাবারে গম, ভুট্টা, হিন্টি, সরিষা, মসুর ইত্যাদি দেয়া হয় কবুতরকে।

প্রতিবেশিসহ এলাকার বিভিন্নস্থান থেকে কবুতর প্রেমীরা দেখতে আসেন কবুতরের এই খামারকে। জাহাঙ্গীরের মুখে বাণিজ্যিক লাভের কথা শুনে অনেকে নিজেরাও খামার গড়ার ইচ্ছের কথা জানান।

জাহাঙ্গীর জানান, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কবুতর কিনতে খামারে আসছেন কবুতর প্রেমীরা। পুলিশ বিভাগের অনেক কর্মকর্তাও এই খামার থেকে বাচ্চা ও বড় কবুতর কিনে নিয়ে যান। কবুতরের জোড়া প্রতি মূল্য থাকে  ১০ হাজার থেকে  ৩০হাজার টাকা পর্যন্ত।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন জানান, সৌখিন কবুতরের খামার অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। এর মাধ্যমে যে কারও সংসারে সচ্ছলতা আসতে পারে। নির্বাহ করা সম্ভব। আগ্রহীদের খামার গড়ে তুলতে বিভিন্ন পরামর্শসহ সব সহযোগিতা দেবে প্রাণীসম্পদ বিভাগ।