লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীর বাসার সামনে ‘ককটেল’ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে আওয়ামী লীগের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি মেয়র প্রার্থী এবিএম জিলানীর।

এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বিএনপির প্রার্থীসহ দলের নেতাকর্মীদের তিনঘণ্টা বাসায় অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আক্তার জাহান সাথী ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় বিকালে তিনি জেলা রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জানা গেছে, আগামী রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রায়পুর পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ধানহাটা সড়কের উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে জিলানীর বাসার সামনে রাস্তায় প্রতিপক্ষের লোকজন পাঁচ-ছয়টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। নির্বাচনের দিন তিনিসহ (বিএনপির প্রার্থী) দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না থাকতে হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়।

বিষয়টি তাৎক্ষণিক পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফোনে জানান জিলানী। এরপর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ওসির নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার জাহান সাথী ও ওসি আবদুল জলিল জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে পটকা ফোটানো হয়েছে। পটকার খোসাও উদ্ধার করা হয়। পরিস্থিতি শান্ত করে উভয়পক্ষের লোকদের ঘটনাস্থল থেকে বিদায় করা হয়েছে।

বিএনপির মেয়র প্রার্থী এবিএম জিলানী বলেন, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তাকে ও তার কর্মী-সমর্থকদের বাধা দিয়ে আসছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট ও তার লোকজন। প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট মুঠোফোনে জানান, তাকে হেয় করার জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিস্ফোরণের বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

জেলা রিটার্নিং ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ও তাকেসহ দলের নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখার বিষয়ে বিএনপির প্রার্থী মুঠোফোনে জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।