বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।  সোমবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। 

সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ধার্য ছিল। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকানের ডাকা সমন্বয় সভায় পরিষদের অন্যান্য সদস্যরা যথা সময়ে উপস্থিত হন। বেলা ১১টার দিকে গোলাম সরোয়ার ফোরকান বেশকিছু মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা সহকারে পরিষদ চত্বরে উপস্থিত হয়। 

এ সময়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা স্লোগান দেন। পাল্টাপাল্টি স্লোগান দেন ফোরকানের সমর্থকরা। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পুলিশ এসে লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ১০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংর্ঘষে সিরাজ পঞ্চায়েত (৪০), জাহাঙ্গীর (৩৫), জহিরুলসহ (৩৪) উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, “কোরাম সংকটের কারণে অনেক দিন ধরে সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। গত ১৮ তারিখ এ সভাটি অনুষ্ঠানের কথা ছিল। সংর্ঘষের কারণে আজকের সভাটিও পণ্ড হয়ে গেছে।” 

পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান বলেন, “আমি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যরা নির্ধারিত মাসিক সমন্বয় সভায় যোগদান করার জন্য উপজেলা পরিষদ মিলনায়নে উপস্থিত হই। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান ও তার ছোট ভাই পটুয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটনের নেতৃত্বে ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা করে উপজেলা পরিষদে আসেন। সংর্ঘষের ঘটনায় আমার ছয়জন কর্মী আহত হয়েছেন।”  

উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন, “আজকে উপজেলা পরিষদের কোনো মাসিক সমন্বয় সভা ছিল না। আমার সঙ্গে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও দুইজন সদস্য ছিলেন। তাছাড়া গ্রাম-গঞ্জ থেকে সমর্থকরা আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। তাদেরকে নিয়ে আমি আমার অফিসে গিয়েছি। মতিয়ার রহমানের সমর্থকরা আমার নয় কর্মীকে মারধর করেছেন। এদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ৮/১০টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এসএম তারেক রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পৌর শহরে বিভিন্ন পয়েন্টে ডিবিসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।