• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২১, ০৮:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৬, ২০২১, ১০:০৮ এএম

‘১৬ মার্চ তিস্তাসহ ছয় নদীর বিষয়ে আলোচনা’ 

‘১৬ মার্চ তিস্তাসহ ছয় নদীর বিষয়ে আলোচনা’ 

আগামী ১৬ মার্চ তিস্তাসহ আরও ৬টি নদীর বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশের পানিসম্পদ সচিবদের আলোচনা হবে জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

শুক্রবার (৫ মার্চ) খাগড়াছড়ির রামগড় সাব্রুম সীমান্তে ফেনী নদীর উপর নির্মিত বাংলাদেশ- ভারত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন শেষে মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন। উভয় দেশের সম্মতিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সেতুটি উদ্বোধন হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে হেলিকপ্টারে করে রামগড় ৪৩ বিজিবি হেলিপ্যাডে তিনি অবতরণ করেন। সেখান থেকে গাড়িযোগে মৈত্রী সেতুস্থলে আসেন। এ সময় তিনি পায়ে হেঁটে মৈত্রী সেতুর জিরো পয়েন্টে গিয়ে সেতুর অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।

কবে নাগাদ সেতুটি উদ্বোধন হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “দুদেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশে আসার সম্ভাবনা আছে। তখন মৈত্রী সেতুসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প প্রতীকীভাবে উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে । সেতুটি পুরোপুরি কার্যকর করতে আমাদের আরও প্রস্তুতি ও সময়ের প্রয়োজন। মৈত্রী সেতুটি চালু হলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এই অঞ্চল তথা দুই দেশ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে বলে আমরা মনে করি।”

তিস্তা চুক্তি সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গতকাল (৪ মার্চ) ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তার বিষয়ে ভারত এখনও আগের অবস্থানে রয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যকার সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা কিছু বলতে পারছে না। তবে আশার বাণী হচ্ছে, করোনার কারণে দীর্ঘদিন সচিব পর্যায়ের বৈঠক বন্ধ থাকার পর আগামী ১৬ মার্চ দুদেশের পানিসম্পদ সচিবদের বৈঠক রয়েছে। সেখানে তিস্তাসহ আরও ৬টি নদীর বিষয়ে আলোচনা হবে।” 

এ ছাড়া ফেনীর মুহুরীর চর বিরোধের বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “সমজাতীয় কয়েকটি সমস্যা একসাথে সমাধানের জন্য ডিসেম্বর মাসে আমরা কয়েকটি প্রস্তাবনা দিয়েছি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।” 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, গোয়েন্দা পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আতিকুর রহমান, চট্টগ্রামের জিওসি মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদীন, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন, রামগড় জোন অধিনায়ক লে. কর্ণেল আনোয়ারুল মাযহার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ প্রমুখ।

২০১৭ সালের অক্টোবর থেকে সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় গত জানুয়ারি মাসে। এতে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮২.৫৭ কোটি টাকা। ২৮৬ একর জমির ওপর ৪১২ মিটার দৈর্ঘ্য ১৪.৮০ মিটার প্রস্থ সেতুটি তৈরি করেন ভারতের ন্যাশনাল হাইওয়ে এন্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল) এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তানিশ চন্দ্র আগারভাগ ইনপাকন প্রাইভেট লিমিটেড। এখন শুধু দুদেশের বাসিন্দারা উদ্বোধনের প্রহর গুনছেন।