• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২১, ০৫:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৭, ২০২১, ০৫:৩৯ পিএম

দায় এড়াল কৃষি বিভাগ 

পোস্ত দানা ভেবে ১২ বিঘায় পপি চাষ

পোস্ত দানা ভেবে ১২ বিঘায় পপি চাষ

একজনের চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে মসলা বা পোস্ত দানা মনে করে জয়পুরহাটে প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পপি (আফিম ও হেরোইনের উৎস) চাষ করেছেন স্থানীয় পাঁচজন কৃষক।

বিষয়টি জানাজানি হলে রোববার সকালে র‌্যাবের অভিযানে এ পপি গাছগুলো কেটে আলামত হিসাবে সংগ্রহ করা হয়েছে।

চাষ করার দায়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে কৃষকদের দাবি কয়েক বছর থেকে মসলা বা পোস্তদানা হিসাবে চাষ হলেও কৃষি বিভাগ জেনে শুনেও কোনো ব্যবস্থা ও পরামর্শও দেয়নি।

অপরদিকে র‌্যাবের দাবি এগুলো মাদক হিসাবে চাষ হয়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক উর্দ্ধতনের উপরে দায় দিয়ে এড়িয়ে যান।

জানা গেছে, সদর উপজেলার পুরানাপৈল বনখুর গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিন প্রায় দু বিঘা জমিতে পপি চাষ শুরু করে। বেশি লাভের আশায় তার দেখাদেখি ওই এলাকার আরও পাঁচজন রাজেন্দ্রনাথ দাস, নইমুদ্দিন মন্ডল, গোলাম মোস্তফা, রিপন সরদার, নেপাল চন্দ্র দাস মোট প্রায় ১২ বিঘা জমিতে পপি চাষ করেছেন। এই পপি চাষে মাদক তৈরি হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে র‌্যাব রোববার ওই এলাকায় অভিযান চালায়। তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

এলাকাবাসী ও কৃষকরা বলেন, মসলা বা পোস্ত দানা উৎপাদন করলে বেশি আয়-এ আশায় এসব চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পরে জানা গেল এগুলো মাদক। কৃষি বিভাগের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। ক্ষতিপূরণ দাবি তাদের।

কয়েক বছর থেকে পপি চাষের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) এ কে এম মফিদুল ইসলাম উর্দ্ধতনের উপর দায় দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

র‌্যাব-৫, জয়পুরহাট ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি এম এম মোহাইমেনুর রশিদ বলেন, পপি একটি মাদক। এ চাষ নিষিদ্ধ হওয়ায়  গাছগুলো কেটে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলেই ধ্বংস করা হবে।