• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২১, ০৮:১২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১৩, ২০২১, ০৮:১৪ এএম

জরাজীর্ণ ডাকঘরে চলে কার্যক্রম

জরাজীর্ণ ডাকঘরে চলে কার্যক্রম

সীমানা প্রাচীর ভাঙা, প্রধান ফটকে নড়বড়ে গেট, সাইনবোর্ড থেকে মুছে গেছে ‘ডাক অফিস’ লেখা। ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে ভেতরে। দূর থেকে দেখে মনে হবে এটি একটি পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ী। এমনই পুরোনো ও জরাজীর্ণ ভবনে চলে ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলা ডাক অফিসের কার্যক্রম।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদের ঠিক বিপরীত দিকে এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক ঘেঁষা উপজেলা ডাকঘর অফিসটি। মহাসড়ক ঘেঁষে রয়েছে সীমানা প্রাচীর। তাও তা ভেঙে গেছে। তার সামনে আবার গেজে উঠেছে জঙ্গল প্রকৃতির ঝোপঝাড়, প্রধান ফটকের গেট নড়বড়ে, প্রধান ফটকের এবং ডাক ভবনের মাঝের ডান সাইডের ফাঁকা স্থানটিতে পড়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনা।

জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী এ ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলে স্তুপ করেছে। ভবনের ভেতরের কক্ষগুলো অবস্থা আরো নাজেহাল। ফ্লোরের প্লাস্টার উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের, দেওয়ালের অবস্থা আরো নাজুক, ছাদের বিভিন্ন স্থানে সিমেন্টের ঢালাই উঠে গিয়ে রড বেরিয়ে পড়েছে। কক্ষগুলোর দরজা জানালা অনেক পুরনো হওয়ায় নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। জোড়াতালি দিয়ে বৈদ্যুতিক কাজ চলছে।

বৃষ্টি হলেই ভবনের ছাদ চুয়ে চুয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে কক্ষে। এতে প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র সংরক্ষণে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এ ডাক বিভাগের ।

উপজেলা পোস্টমাস্টার গোলাম মোস্তফা জানান, ১৯৮৪ সালে এক বিঘা জমি নিয়ে নির্মাণ হয় উপজেলা ডাকঘর অফিসটি। সেই থেকে অফিসটি একবারও সংস্কার হয়নি। ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করলেও এখনো নতুন করে ভবন নির্মাণ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এখানেই অফিস করতে হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, “বিদ্যুতের তারগুলো যখন তখন ছুটে পড়ে যায়। বৈদ্যুতিক পাখাগুলো ছুটে পড়ে যায়, স্থানীয় মিস্ত্রি দিয়ে কোন রকম লাগিয়ে কাজ করছি। তাছাড়াও ভবনের স্টোর রুম ছাদের বিভিন্ন অংশ ভেদ করে বৃষ্টির পানি পড়ে। এতে প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র সংরক্ষণে চরম ভোগান্তিতে রয়েছি আমরা।”

উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আযম মুন্না বলেন, “জরাজীর্ণ এই ডাক ভবনটি নিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”