• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০২১, ০৮:৪৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৩, ২০২১, ০৮:৫২ পিএম

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

উখিয়ার বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অনেকেই। আগুনের ঘটনা তদন্তে রোহিঙ্গা ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসিন।

মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে সচিব মো. মোহসিন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ক্যাম্প নং ৮-ইয়ের একজন, ৮-ডাব্লিউয়ের পাঁচ জন ও ক্যাম্প-৯-এর পাঁচ জন। এছাড়া অগ্নিকাণ্ডে ৯ হাজার ৩ শ ঘরবাড়ি, ১৩৬টি লার্নিং সেন্টার, দুটি বড় হাসপাতাল ও মূল্যবান জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

ব্রিফিংয়ে সচিব জানান, ক্ষতিগ্রস্থ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়রা যাতে ক্ষুধায় কাতর না হয় সে অনুযায়ী বিশ্ব খাদ্য সংস্থা বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় খাদ্য নিশ্চিত করেছে। অগ্নিকাণ্ডের পরপরই জরুরি খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে ৩ হাজার ৮ শ রোহিঙ্গা পরিবার অন্য ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে এবং অস্থায়ীভাবে ৮ শ তাবু স্থাপন করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের সার্বিক খোঁজখবর নিতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও স্বেচ্ছাসেবকরা দিনরাত কাজ করছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়দের ক্ষতির ব্যাপারে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি বলেন, যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা হাতে পেলে সেই অনুযায়ী টিন, নগদ অর্থ ও দুই-তিন মাসের খাদ্য দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ১০ লাখ টাকা ও ৫০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। 

রোহিঙ্গা ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির মধ্যে দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, এডিসি, এএসপি, ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি, এপিবিএন প্রধান ও অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার রয়েছে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ের সময় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এপিবিএন, গোয়েন্দা সংস্থা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালী ভস্মীভূত রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আগুনে বাড়িঘরসহ, মসজিদ, দোকানপাট, হাসপাতাল ও এনজিওর ভবন পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আগুন লেগে প্রায় রাত ১০টার দিকে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা।