• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২১, ০৪:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ২৭, ২০২১, ০৪:৫৮ পিএম

বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০

বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ২০

হবিগঞ্জে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে শায়েস্তানগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করলে সংঘর্ষ বাধে।

এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছের ছেলে ব্যারিস্টার মঞ্জুরুল কিবরিয়া প্রীতম, ভাই জি কে গফ্ফার ও তার ছেলে আদনান ফারহাদ রাফিদসহ অন্তত ৯ জনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা শায়েস্তানগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) দৌস মোহাম্মদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

একসময় পুলিশ ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদল, যবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা ব্যারেকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। পরে তারা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।

পুলিশে আত্মরক্ষাতে সদর থানায় আশ্রয় নেয়। এ সময় তারা রাস্তা অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ ছুটে এলে নেতা-কর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় বেশ কয়েকটি ইজিবাইক ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করলে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ইটপাটকেলের আঘাতে আহত কনস্টেবল মো. রিয়াজকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে পালিয়েছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায়বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জি কে গউছ জানান, তার বাসা থেকে ভাই, ছেলে ও ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। এটি একটি পরিবারের প্রতি জুলুম।

জি কে গউছ বলেন, “সংঘর্ষ রাস্তায় হয়েছে। যারা ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। কিন্তু নিরপরাধ লোকদের কেন আটক করা হচ্ছে।”

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীরা প্রধান সড়কে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হওয়ার পাঁয়তারা করছিল। পুলিশ তাদের শান্তিপূর্ণভাবে ভেতরে রাস্তায় কর্মসূচি পালন করার জন্য বলে। কিন্তু তারা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে মেইন রোডে গাড়ি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে শুরু করে। বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। আহত পুলিশ সদস্যরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। অভিযান অব্যাহত আছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মাফরোজা আক্তার শিমুল জানান, পুলিশ রাস্তায় অবস্থান করছিল। কিন্তু বিএনপি নেতা-কর্মীরা পুলিশের উপর হামলা করেছে। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল।