• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২১, ১০:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৫, ২০২১, ১১:১১ পিএম

সালথায় তাণ্ডব

নেপথ্যে নায়ক স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ! 

নেপথ্যে নায়ক স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি ! 

গত ৫ এপ্রিল ফরিদপুরের সালথায় সহিংসতার নজিরবিহীন তাণ্ডবের ঘটনার নেপথ্যে মূল নায়ক কথিত স্বেচ্ছা-সেবকলীগ নেতা ইমারত হোসেন পিকুল মোল্যা এখনও ধরাছোঁয়ার বাহিরে রয়ে গেছেন।

তাণ্ডবের ওই ঘটনায় তাকে আসামি করা হলেও প্রতিদিন ফেসবুকে এসে উপজেলা প্রশাসন নিয়ে নানা ধরণের উস্কানিমূলক পোষ্ট দেন। তবুও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না।

পুলিশ বলছে, ইমারত হোসেন পিকুলকে আটক করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনসহ স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত পিকুলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন। 

জেলা স্বেচ্ছা-সেবকলীগের সভাপতি শওকত আলী জাহিদ বলেছেন, "পিকুলকে সালথায় স্বেচ্ছা-সেবকলীগের কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তিনি ভুয়া পরিচয় দিয়ে চলছেন। এ ব্যাপারে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।"

খোঁজ নিয়ে জানা জানায়, পিকুলের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও সরকারি জমি দখল করে এলাকায় আলোচিত হয়েছেন। 

ওই ঘটনার রাতের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২৫ জানুয়ারি সালথা বাজারের গুরুত্বপর্ণ স্থানে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে উপজেলা প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ হন স্বেচ্ছাসেক লীগ সভাপতি ইমারত হোসেন পিকুল। এছাড়া পিকুলের ভাই এনায়েতের দখলে থাকা সরকারি জমি উদ্ধার করে প্রশাসন। এ ঘটনায় পিকুল ও তার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হন। তার ক্ষোভ বিভিন্ন সময় প্রকাশ্যে ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করেছিল। ওই ক্ষোভের কারণে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই জনতার ক্ষোভের তিলকে মদদ ও রসদ দিয়ে তাল বানাতে সাহায্য করেছে তিনি ও তার অনুসারীরা।

তবে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইমারত হোসেন পিকুল জানান, তিনি এই হামলার সঙ্গে যুক্ত নন বরং তিনি তার এলাকা রামকান্তপুরের উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছেন।

তবে (ইমারত হোসেন) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয় প্রশাসনের সঙ্গে অসন্তোষ ও ফেসবুকে তার বিরূপ মন্তব্যের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, "আমি ইউএনওর-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদের দুর্নীতি নিয়ে ফেসবুকে লেখা-লেখি করেছি বিধায় আমার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় কোনোভাবেই জড়িত না।" 

পিকুলের বিষয় সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: হাসিব সরকার বলেন, "তাণ্ডবের ঘটনার (ভূমি অফিস ভাঙচুর) মামলায় পিকুল মোল্যা আসামি হয়েছে। তিনি আসামী হওয়ার পর থেকে উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করছে। এগুলো আমরা দেখেছি। এ বিষয় পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।" 

সহকারী পুলিশ সুপার মো: সুমিনুর রহমান বলেন, "পিকুলকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব দ্রুতই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।"