• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০১৯, ০৯:৩২ এএম

টমেটো চাষে সফল হালিম

টমেটো চাষে সফল হালিম
সফল চাষি হালিম। ছবি: জাগরণ

 


চাকরির পেছনে না ঘুরে কৃষিকাজ করেও যে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করা যায় তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের আব্দুল হালিম। নাম হালিম হলেও এলাকার সবাই তাকে চিনে টমেটো হালিম নামে।

২২ বছর ধরে তিনি শীত মৌসুমে আগাম জাতের টমেটো চাষ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। টমেটো চাষে নিজেই শুধু সাবলম্বী হননি তার জমিতে কয়েকজন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করেছেন। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের খেকিডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হালিম এখন সবার কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তি।

আব্দুল হালিম জানান, ১৯৯৬ সালে শখের বশে পৈতৃক পুকুর পাড়ে ২ শতক জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আগাম জাতের টমেটোর চাষ করেছিলেন। সেবার সফলতা পাওয়ায় হালিমের মনে আশা জাগে। সেই থেকে শুরু। আর এখন তার প্রধান পেশা টমেটো চাষ।

এ বছর তিনি ২ একর জমিতে আগাম জাতের টমোটো চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এরইমধ্যে বাজারজাতকরণ শুরু করেছেন। এখন পর্যন্ত ৯৫ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, এখন দাম কিছুটা কম হলেও জমিতে যে পরিমাণ টমেটো আছে, তাতে বাজার মূল্য ঠিক থাকলে আরও দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।

হালিম বলেন, পরিবার নিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটলেও এখন নিজে ভাল চলছি। এলাকার ২-৪ জনকে নিয়মিত কাজ দিতে পারছি। সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা পেলে উৎপাদন আরও বাড়াতে পারবো।

হালিমের সফলতা দেখে বিভিন্ন আগাম সবজি চাষে ঝুঁকেছেন অন্যান্য চাষিরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জেলায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে আলুর পরিমাণ বেশি। তবে হাতে গোনা ২/৪ জন টমেটোর চাষ করেছেন। তাদের মধ্যে হালিমের জমির পরিমাণ বেশি।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বলেন,অধ্যবসায় ও পরিশ্রম দিয়ে যে কেউ নিজের ভাগ্য বদলাতে পারে আব্দুল হালিম তারই প্রমাণ। চাষিরা যাতে আগাম সবজি চাষ করে লাভবান হতে পারেন সেজন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রচারণা চালানো হয়।


সাইসে