• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২১, ০৪:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৫, ২০২১, ০৪:৫৭ পিএম

দুই বছরে ২১ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মাদ্রাসাশিক্ষক

দুই বছরে ২১ ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মাদ্রাসাশিক্ষক

প্রতি মাসে নতুন ছাত্রীকে টার্গেট করে ধর্ষণ করা তার নেশা। ২৪ মাসে ২১ জন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। তাদের স্বীকারোক্তিমূলক রেকর্ড হাতে পেয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগও দিয়েছেন অভিভাবকরা।

ঘটনা সাতক্ষীরা কালীগঞ্জের। উপজেলার মধ্য রহমতপুর গ্রামের মাদ্রাসাশিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। তিনি রহমতপুর গ্রামে অবস্থিত তালিমুল কুরআন নূরানি মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক ও একই গ্রামের মোবারক গাজীর ছেলে।

জানা গেছে, শিক্ষকের কাছে শ্লীলতাহানির শিকার ৫ ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে মাদ্রাসা কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, তালিমুল কুরআন নূরানি মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিন দুই বছর ধরে মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিশু ছাত্রীদের তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতেন। সেই সুযোগে বিভিন্ন সময়ে অন্তত ২১ জনকে ধর্ষণ করেছেন। অভিযোগকারী অভিভাবকদের কাছে নির্যাতনের শিকার ২১ শিশু ছাত্রীর রেকর্ড সংরক্ষণ রয়েছে।

তারা জানান, শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিন দীর্ঘদিন ধরে এসব অপকর্ম করছেন। তাকে কেউ কিছু বললে উল্টো সে হুমকি প্রদান করেন। লোকলজ্জার ভয়ে অনেক পরিবার সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও তারা শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মাদ্রাসা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক হাসানুর রহমান জানান, আরবি শিক্ষক আক্তারুজ্জামান তুহিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কয়েকটি পরিবার। এরপর মাদ্রাসা কমিটির সদস্যরা বিচার বসিয়ে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করেন।

মাদ্রাসার সুপার হাফেজ মাওলানা ইউনুস আলী বলেন, “প্রথমে ঘটনাটি শোনার পর বিশ্বাস হয়নি। পরবর্তী সময়ে অভিযুক্ত শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি সবকিছু স্বীকার করেন। এরপর কমিটি তাকে মাদ্রাসা থেকে বহিষ্কার করে।”

ওই মাদ্রাসার সভাপতি শামছুর রহমান সাফাই গাইলেন অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষেই। তার দাবি, তৃতীয় শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী ধর্ষিত হয় না। 

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, “আপনাদের মাধ্যমে এই বিষয়টি জানতে পারলাম। বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখব। ঘটনার সত্যতা পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”