• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২১, ০৯:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১১, ২০২১, ১০:৫৪ পিএম

মিতু হত্যা মামলা

সাবেক এসপি বাবুল আক্তার গ্রেপ্তার

সাবেক এসপি বাবুল আক্তার গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

দিনভর মিতু হামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পর মঙ্গলবার (১১ মে) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পিবিআই-এর একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, পিবিআইয়ের তদন্ত এবং বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী হত্যায় তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পিবিআই।

এদিকে পিবিআই-এর একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে নতুন করে হত্যা মামলা করা হবে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার সকালে তাকে আদালতে তোলা হবে।

অন্যদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, “বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।”

এর আগে মিতু হত্যা মামলার বাদী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে টানা জিজ্ঞাবাদ করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। ঢাকায় একদিন জিজ্ঞাসাবাদ করার পর মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম আনা হয়। এরপর দিনভর চলে একটানা জিজ্ঞাসাবাদ।

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানান পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

বনজ কুমার মজুমদার বলেন, মামলার বাদী হিসেবে বাবুল আক্তার মঙ্গলবার চট্টগ্রাম গেছেন। তিনি মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এটাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা তদন্তের বিষয়ে জানতে চাওয়া, যেকোনো কিছুই বলা যেতে পারে।

বাবুল আক্তার স্ত্রী হত্যা মামলার বাদী হলেও তার শ্বশুরের অভিযোগ, জামাই বাবুল আক্তারই তার মেয়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িত।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। ওই সময় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলায় তিনি বলেন, তার জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় মিতু হত্যার তদন্ত নতুন মোড় নেয়।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ অব্যাহতভাবে হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আক্তারকে দায়ী করে থাকেন। তবে পুলিশের তরফ থেকে কখনোই এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি। গোয়েন্দা বিভাগ মাত্র দুবার বাদী বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

শুরু থেকে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে। তারা প্রায় তিন বছর তদন্ত করেও অভিযোগপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। পরে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে আদালত মামলাটির তদন্তের ভার পিবিআইকে দেয়।