• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২১, ১০:৫১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৩, ২০২১, ১০:৫৪ এএম

কসবায় পুরুষশূন্য গ্রাম, আতঙ্কে নারীরা 

কসবায় পুরুষশূন্য গ্রাম, আতঙ্কে নারীরা 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় পুরুষশূন্য নিমবাড়ি গ্রামে নারীদের দিন কাটে লুট আতঙ্কে। সর্বস্ব লুট হয়ে যাওয়ার ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকেন তারা। কখনো ঘরে থাকা সহায় সম্বল আবার কখনো ফসলি জমিও কেটে নেওয়া হচ্ছে। পূর্ববিরোধের জের ধরে দুটি খুনের ঘটনার পর নিমবাড়ি গ্রামজুড়ে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে।

২০১৭ সালের একটি খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে আরও একজন খুন হন। কাবিলের গোষ্ঠী ও পাণ্ডবের গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধের জের ধরে পাণ্ডবের গোষ্ঠীর দুইজন খুন হন। খুনের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর গ্রেপ্তার এড়াতে প্রতিপক্ষের বাড়িঘর পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।

এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি পক্ষ গ্রামজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব ও লুটপাট চালায়। এ সময় কাবিল গোষ্ঠীর বাড়িঘর ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। হামলাকারীরা বাড়িঘরের মূল্যবান জিনিসপত্রের পাশাপাশি জমির ফসল কেটে নিচ্ছে। পাশাপাশি গৃহপালিত পশুপাখিও লুট করে নিয়ে যায়। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিপক্ষের হামলায় বসতবাড়ির অনেক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাঙচুরের শিকার পরিবারগুলো এখনো আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। প্রতিপক্ষ যেকোনো সময় আবারও হামলা করতে পারে।

নিমবাড়ির গ্রামে লিনা বেগম বলেন, “পুরুষশূন্য গ্রামে আমরা ভয়ের মধ্যে রয়েছি। হামলাকারীরা মহিলা ও শিশুদেরও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমরা স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে চাই।” 

বৃদ্ধ রউফ মিয়া বলেন, “খুনের ঘটনার পর হামলাকারীরা আমার ১২ কানি জমির ফসল কেটে নিয়ে গেছে। আমি বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে আসে। আমি প্রাণভয়ে চলে আসি।” 

স্থানীয়রা জানান, দুই পক্ষের বিরোধকে কেন্দ্র করে গ্রামের একাধিক গ্রুপ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এতে জড়িয়ে পড়ে। গ্রামের মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে। গ্রামের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন জানান, গত ১৩ মার্চ নিমবাড়ি এলাকায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে খুনের ঘটনায় মামলাও হয়েছে। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের বাড়িতে কিছু লুটপাটের খবর পেয়েছি। তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।