• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০২১, ০২:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০২১, ০২:২১ পিএম

ঈদের ছুটিতে পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সৈকত

ঈদের ছুটিতে পর্যটকশূন্য কক্সবাজার সৈকত

ঈদের ছুটিতে লাখ লাখ মানুষের পদচারণে মুখরিত থাকত যে সমুদ্রসৈকত, সেখানে বর্তমানে সুনসান নীরবতা। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় দেড় মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ফলে ঈদের ছুটিতেও নেই পর্যটকদের কোলাহল। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে পর্যটন কেন্দ্র ও পর্যটন এলাকার সব শত শত আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় পর্যটন খাতের সঙ্গে জড়িত অর্ধলক্ষাধিক পরিবারে এবারের ঈদের আনন্দ ম্লান হয়ে গেছে।

প্রতিবছর ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, শারদীয় দুর্গাপূজা ও ইংরেজি নববর্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম এ সমুদ্রসৈকতে নামে লাখো পর্যটকের ঢল। করোনার কারণে গত বছরও কক্সবাজারের পর্যটন খাতের অবস্থা ছিল এবারের মতোই। অবশ্য গত বছরের আগস্টে সীমিত পরিসরে পর্যটনশিল্প খুলে দেওয়ার পর ইংরেজি নববর্ষে কক্সবাজারে পর্যটক সমাগম অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। এ সময় এক দিনেই কক্সবাজারে ১০ লক্ষাধিক পর্যটক সমাগম ঘটে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা। 

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার ১ এপ্রিল থেকে কক্সবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করলে কক্সবাজার শহরসহ জেলার পর্যটন কেন্দ্রসমূহে অবস্থিত ৭ শতাধিক আবাসিক হোটেল ও সহস্রাধিক রেস্তোরাঁ, দোকানপাট, ট্যুর অপারেটরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অর্ধলক্ষাধিক মানুষ বেকার হয়ে পড়েন। 

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ট্যুরিজম সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, “করোনা লকডাউনের কারণে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পে দৈনিক ১০ কোটি টাকার বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। দেড় মাস ধরে হোটেল-মোটেল বন্ধ থাকায় মালিকপক্ষ ব্যাপক লোকসানের শিকার হচ্ছে। যে কারণে বেশির ভাগ কর্মচারীকেই ছুটি দেওয়া হয়েছে।”

ঈদের দিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বেশ কিছু পয়েন্টে স্বল্পসংখ্যক স্থানীয় দর্শনার্থীদের ভিড় জমাতে দেখা গেছে। তাদের অনেকের মাঝে ছিল না স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। দর্শনার্থীরা বলছেন, ঈদ আনন্দ উপভোগে সৈকতে ছুটে এসেছেন। 

ট্যুরিস্ট পুলিশ বলছে, কড়াকড়ি না করে সৈকতে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। দর্শনার্থীদের সৈকতে নামতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি প্রতিটি পয়েন্টে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানালেন কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. গোলাম কিবরিয়া।