দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর চালু হল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন। মার্চে হেফাজতের হরতালে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয় স্টেশনটি। 

মঙ্গলবার (১৫ জুন) রেলওয়ে স্টেশনটির মর্যাদা অবদমিত করে ‘ডি’ ক্লাসের স্টেশন হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছে রেলওয়ে। সনাতন পদ্ধতিতে চলছে ট্রেন। সেই সঙ্গে প্রাথমিক রেললাইন সংস্কারের কাজও শুরু হয়েছে। 

দীর্ঘ ৮০ দিন পর এই স্টেশনটিতে ট্রেন যাত্রা বিরতি করায় স্বস্তি এ পথে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। তাদের দাবী দ্রুত সংস্কার শেষে স্টেশনটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার। 

সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, মর্যাদা অবদমিত করে হলেও ৫ জোড়া ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে দীর্ঘ দিন পর আবারো প্রাণ ফিরে পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন। যাত্রা বিরতির খবরে স্বস্তি ফিরে আসে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। 

মঙ্গলবার সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, গত ২৬ মার্চ নরেন্দ্র মোদির সফরকে ঘিরে হেফাজতের বিক্ষোভ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। এতে প্যানেল বোর্ডসহ সিগন্যালিং ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় স্টেশনটিতে সব ধরণের ট্রেনের যাত্রাবিরতি বাতিল করা হয়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। এর ফলে গত ২ মাস ২০ দিনে অন্তত আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়। 

দুর্ভোগে লাঘবে সাময়িকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে ‘ডি ক্লাস’ স্টেশনে রূপান্তর করে ট্রেন চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। আজ থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করছে। আগামীকাল বুধবার ১৬ জুন থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস। সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তালশহর ও পাঘাচংয়ের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ারিং এর কাজ চলবে। ট্রেন থামবে গার্ড এবং চালকের সমন্বয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। 

স্টেশন মাস্টার সোয়েব মিয়া জানান, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গার্ড এবং ট্রেন চালকের সমন্বয়ে ট্রেনে যাত্রী উঠানামা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা হবে।