• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২১, ০১:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০২১, ০১:৫২ পিএম

৩০ মণ ওজনের কালো মানিক

৩০ মণ ওজনের কালো মানিক

কালো মানিক। নাম শুনলেই বোঝা যাচ্ছে কেমন গরু হবে। যার ওজন ৩০ মণ। টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় আনেহলা ইউনিয়নের কোরবানী ঈদ উপলক্ষে নিজ বাড়িতে গরুটি লালন-পালন করছেন মো.চান মিয়া। তিনি গরুটির দাম হেঁকেছেন সাড়ে ৮ লাখ টাকা।এ গরুর বয়স ৪ বছর। গরুটি লম্বায় ৯ ফুট ৬ ইঞ্চি, উচ্চতায় ৬ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন ৩০ মণ।

সিন্ধি জাতের ষাঁড়টি দাম কিছু কম হলেও তিনি বাড়িতেই বিক্রি করতে চান। শখ করে পালন করা এই ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিনই তার বাড়িতে ভিড় করছেন আশেপাশের এলাকাসহ দূরদুরান্তের উৎসুক লোকজন। তার পরিবারের কোন লোক না থাকায় ও করোনাভাইরাস ঝুঁকির কারণে তিনি হাটে তুলতে চান না গরুটি। বর্তমানে গরুটি  উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের খায়েরপাড়া গ্রামের মালিক চান মিয়ার বাড়িতেই রয়েছে। তবে তিনি ফেসবুকে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছেন। যোগাযোগের নম্বরও দিয়েছেন। সেখানে তিনি দামও উল্লেখ করেছেন। 

চান মিয়া বলেন, ষাঁড়টি জন্মের পর থেকেই আমি লালন পালন করছি। সম্পূর্ণ দেশিয় পদ্ধতিতে লালন পালন করেছি। গরুটিকে মোটা তাজাকরণের ওষুধ ও ইনজেকশন এমন কোনো কিছুই প্রয়োগ করা হয়নি। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। পাশাপাশি সম্পূর্ণ উপজেলা প্রাণী সম্পদ  অনুমোদিত মেশিনে  তৈরি খাবার ও বিজ্ঞানসম্মত সঠিক পরিচর্যা করা হয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তারাও গরুটির স্বাস্থ্য বিষয়ক খোঁজ খবর নিচ্ছেন।

উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন মো.বাহাউদ্দিন সারোয়ার রেজভী বলেন, মো.চান মিয়া তার খামারে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরুটিকে লালন-পালন করেছেন। ষাঁড়টিকে নিয়মিত দেখাশোনা করা হচ্ছে।  উপজেলায় আরো বড় গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে তার মধ্যে  এই ষাঁড়টিই অন্যতম।

জাগরণ/এমআর