• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২১, ০২:০৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২০, ২০২১, ০২:০৬ পিএম

ড্রাগন চাষে সফলতার স্বপ্ন

ড্রাগন চাষে সফলতার স্বপ্ন

মহামারি করোনাকালের সময়কে কাজে লাগিয়ে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ থেকে পিঙ্ক রোজ অ্যান্ড হোয়াইট কালার জাতের ড্রাগন ফলের কান্ড সংগ্রহ করে বাণিজ্যিকভাবে চাষ করেছেন পাটকেলঘাটা থানার বাগমারা গ্রামের এক কলেজ শিক্ষক। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কৃষি বাইস্কোপের সহযোগিতায় তিনি ড্রাগন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
ড্রাগন চাষে তিনি এ পর্যন্ত ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। একটি গাছ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। ড্রাগন ফল মূলত আমেরিকান ফল যা বর্তমান বাংলাদেশে ব্যাপকহারে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পাটকেলঘাটা হতে মাগুরা সড়কের পাশে কলেজ শিক্ষক তৌহিদুজ্জামান ড্রাগন চাষাবাদ করেছেন। খুলনা সুন্দরবন সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ৭ বিঘা জমি লিজ নিয়ে ড্রাগন ফল চাষ শুরু করেছেন। ৭ বিঘা জমি বাৎসরিক ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা লিজ নিয়ে চাষ করেছেন। তিনি এ কাজে সার্বক্ষণিক মাসিক বেতনে দুজন কেয়ারটেকার নিযুক্ত করে রেখেছেন তারা সবসময় তদারকি করেন। বর্তমানে অনেক গাছে ফল আসা শুরু হয়েছে।

তিনি জানান, জমিতে মোট ১২ শত খুঁটি রয়েছে। প্রত্যেক খুঁটি সাড়ে সাত ফুট দৈর্ঘ ও সাড়ে ছয় ফুট প্রস্তে স্থাপন করে গাছ রোপন করা হয়েছে। প্রত্যেক খুঁটিতে ৪ টি করে গাছ আছে। আগামী জুলাই মাস থেকে ফল বাজারজাত করা হবে। দুই বছর পর থেকে লাভের মুখ দেখা যাবে। এফল খুব দ্রুত বাড়ে এবং মোটা শাখা তৈরি করে। একটি এক বছরের গাছে ৩০ টি পর্যন্ত শাখা তৈরি করতে পারে। এক বছরের মাথায় ফল সংগ্রহ করা যায়।
এককেজি ফল ২ শত থেকে ৪ শত টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে। এ ফল রসাল অত্যন্ত সুস্বাদু । এ ব্যাপারে তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, এ উপজেলায় তেমন কেউ এ চাষাবাদে অভ্যস্ত নয়। অনেকে শখের বসে ছাদে ড্রাগন ফল চাষাবাদ করেন। তবে নগরঘাটায় এবং ফলেয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এ চাষাবাদ শুরু হয়েছে। আগামীতে তাদের দেখাদেখি আরও অনেক কৃষক এ চাষাবাদে আগ্রহ হবেন। 

জাগরণ/এমআর