• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১, ১০:০৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০২১, ১০:০৩ এএম

চার বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগ চরমে 

চার বছরেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ, দুর্ভোগ চরমে 

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর সিপাহী পাড়ায় ৪ বছরেও শেষ হয়নি সেতু পুনর্নিমাণ কাজ। এতে করে চলতি বর্ষা মৌসুমে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই এলাকার হাজার হাজার মানুষ। শুধু তাই নয়, সেতু পুনর্নিমাণ কাজ শেষ না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। এতে করে সিপাহী পাড়া প্রধান সড়ক দিয়ে যেসকল মানুষ যাতায়াত করতো তাদের অনেক কষ্ট স্বীকার করে বিকল্প উপায়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। তবুও মহেশখালী উপজেলার সিপাহীপাড়া গ্রামের প্রধান সড়কের সেতুটি পুনর্নিমাণ কাজ আদৌ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে বিগত ২০১৮ সালের শুরুর দিকে বানিয়ার দোকান থেকে সিপাহীর পাড়া সড়কের উপর সিপাহী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়। তখন দ্রুত গতিতে একই বছর সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও নানান কারণে দীর্ঘ চার বছর সময় ধরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। যার ফলে দীর্ঘদিন যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে করে সিপাহীর পাড়া এলাকার প্রায় ত্রিশ হাজারের অধিক মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছে। 

এলাকাবাসীরা জানান, মানুষ ও হালকা যান চলাচলের জন্য সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক একটি কাঠের সেতু করে দেন। পরে তা ভেঙে গেলে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আরও একটি কাঠের সেতু করে দেন। তারা আরো জানান, তৃতীয়বারের মতো সেতুটি ভাঙলে ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রায়হান, মোহাম্মদ সিদ্দিকসহ এলাকাবাসীরা সম্মিলিতভাবে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে অস্থায়ী কাঠের সেতু  নির্মাণ করে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাঠের সেতুটি মাঝখানে ও দুই পাশে ভেঙে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করতে গিয়ে গতকাল টমটম গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কয়েকজন যাত্রী আহত হয় বলে জানা যায়। এই বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান, তিন বছর আগে সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চলে যায়। পরে আরও তিনবার টেন্ডার দেয়া হয়। কিন্তু মালামালের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে কেউ টেন্ডার নেয়নি। চতুর্থবারের টেন্ডারে ঠিকাদার কাজ শুরু করেছিল। পরে করোনার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এখন বর্ষায় পানি জমার কারণে কাজ করতে পারছে না তারা। বৃষ্টি কমলে দ্রুতগতিতে সেতু নির্মাণের কাজ চালু হবে। 

এদিকে মহেশখালী-কুতুবদিয়া সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, সেতুর কাজ ঠিক সময়ে সম্পন্ন হয়ে যেত। ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ার কারণে তা সম্ভব হয়নি। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ব্যক্তিগতভাবে দুইবার কাঠের সেতু নির্মাণ করেছিলাম। যেহেতু আবারো কাঠের সেতু নষ্ট হয়েছে, তাই দ্রুত সময়ে বিকল্প সেতু করে দেয়া হবে।

জাগরণ/এমআর