• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২১, ০৫:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০২১, ০৫:২৮ পিএম

আজও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এই সড়কে

আজও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি এই সড়কে

এইচ এম মোনায়েম খান, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকা থেকে পোরজনা ইউনিয়নের বড়মহাজারপুর, নন্দলালপুর ও জিগারবাড়িয়া গ্রামের অবস্থানগত দুরত্ব খুব বেশী না হলেও এ ৩ গ্রামের সড়কে আজও আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি। প্রায় ২৫হাজার এলাকাবাসীর যোগাযোগের সুবিধার্থে ও দুর্ভোগ লাঘবে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়টিক অবহেলিতই রয়ে গেছে। সড়কটি সংস্কার ও পাকাকরণে এলাকাবাসী বারবার জনপ্রতিনিধিদের দ্বারস্থ হলেও জনদুর্ভোগ লাঘবে কাজের কাজ কিছু হয়নি।

বাধ্য হয়ে এলাকাবাসী এক হয়ে নিজেদের প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয় করে এ সড়কে বালি ও মাটি ভরাট করে চলাচলের উপযোগী করে। কিন্তু, ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে বৃষ্টিপাতে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানা-খন্দ সৃষ্টি হয়ে কাদাপানি জমে তা চলাচলের অনুপযোগী ও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, ‘উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের বড়মহারাজপুর, নন্দলালপুর ও জিগারবাড়িয়া গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়ক এটি। এ সড়ক ব্যবহার করে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১টি আলিয়া মাদ্রাসা, ১টি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, ১০টি মসজিদে মুসুল্লীগণসহ ২ টি বাজার ও নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। ৩ গ্রামের বিশাল ওই জনগোষ্ঠীর চলাচলের একমাত্র এ সড়কটি র্দীর্ঘ সময়ে সংস্কার না করায় যাতায়াত ও সব ধরনের মালামাল এবং কৃষিপণ্য পরিবহনে এলাকাবাসীকে পোহাতে হচ্ছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ-দুর্গতি। দেখার কেউ নেই। উপায়ান্তর না দেখে বাধ্য হয়ে দু’বছর আগে এ ৩ গ্রামের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের নিজস্ব দেড় কোটি টাকা খরচ করে বালি ও মাটি দিয়ে সড়ক ভরাট করে কোন রকমে যাতায়াত ও মালামাল পরিবহন করে আসছিলো। কিন্তু, বৃষ্টির ফলে ওই সড়কে সৃষ্ট বড় বড় খানাখন্দে কাদাপানি জমে বর্তমানে সেটিও যানবাহন ও জনগণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

নন্দলালপুরের মো. রফিকুল ইসলাম রওশন, বদিউজ্জামান বদি, আলহাজ্ব শমসের আলী মাস্টার জানান, ‘বড় মহারাজপুর-নন্দলালপুর-জিগারবাড়িয়া সড়কের বড়মহারাজপুর কবরস্থানের দক্ষিণ দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক পাকা ও পরবর্তী ২ কিলোমিটার কাচা সড়ক রয়েছে। সড়কের কাচা অংশ চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় গ্রামের মানুষেরা সম্মিলিতভাবে নিজেদের অর্থ ব্যয় করে সড়কে বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করে কোনমতে চলাচল ও সব ধরনের মালামাল পরিবহন করে আসলেও বর্তমানে এলাকাবাসীকে নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। অতীব জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক অবিলম্বে পাকাকরণে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।’

এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা প্রকৌশলী আহম্মেদ রফিক জানান, ‘নন্দলালপুর পাকার মাথা থেকে ১ কিলোমিটার সড়কের টেন্ডার হয়েছে। এর কাজ হলে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে।