• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০১৯, ০৭:১৮ পিএম

মানা হচ্ছে না শ্রম আইন: অধিকাংশ ইটভাটায় ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত

মানা হচ্ছে না শ্রম আইন: অধিকাংশ ইটভাটায় ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে নিয়োজিত

 

ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটায় মালিকরা শ্রম আইন মানছে না। তারা ইট তৈরি ও বহনের কাজে শিশু শ্রম ব্যবহার করছে। এসব ভাটায় ১২ বছরের কম বয়সী প্রায় চারশ শিশু কর্মরত আছে। যাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৮ ভোর ছয়টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তারা ভাটাগুলোয় কাজ করে। গড়ে ১০ ঘণ্টা কাজের পর তারা ভাটাতেই ঘুমায়। তাদের দৈনিক আয় ১০০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে।

সরেজমিন দোহার ও নবাবগঞ্জের বিভিন্ন ভাটায় গিয়ে দেখা যায়, শিকারীপাড়া এলাকার ডিএনবি ও চুনাকাটিবিল এলাকায় অবস্থিত জেবিসি, সাহেবখালীর জে.বি.সি, জেপিবি, মাঝিরকান্দা এলাকায় ডি.এন.বি ও শোল্লা পালিঝাপের এস.এসবি ব্রিকস্ (এ.এ.বি) কৈলাইল ইউনিয়নে জে.বিসি(এনডিএস) ব্রিকস, এনবিএস, কে.এইচ.বি ,জে.বি.সি (এনডিএস) নামের ভাটাগুলোতে আবাধে শিশু শ্রমের ব্যবহার চলছে।

দারিদ্র্যের কারণে শিশুরা ভাটার কাজে যুক্ত হতে বাধ্য হয়েছ বলে জানায় তাদের অভিভাবকরা। ভাটার মালিকরা অর্থনৈতিক সংকটের সুযোগ নিয়ে স্বল্প মজুরিতে দিন রাত কাজ করাচ্ছে। আর এসব শিশুদেরকে একটি দালাল চক্রের মাধ্যমে সিলেট, সাতক্ষিরা, সিরাজগঞ্জ ও রাজবাড়ি এলাকা থেকে বার্ষিক চুক্তিতে আনা হয়েছে। যা বাংলাদেশ শিশু অধিকার সনদের পরিপন্থী।

স্থানীয় সচেতন মহল জানান, ভাটার ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে শিশু শ্রমের ব্যবহার করার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তাদের দাবি যেসব ইটভাটায় শিশুদের নিয়োগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।  তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসসি/এসজেড