• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২১, ০৫:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২১, ০৫:০৮ পিএম

প্রস্তুত ৯৫ হাজার পশু বিক্রি নিয়ে সংশয়

প্রস্তুত ৯৫ হাজার পশু বিক্রি নিয়ে সংশয়

কাজল আর্য, টাঙ্গাইল

ঈদুল আযহা নিকটে। করোনায় মানুষ বিপর্যস্থ। গরু ব্যবসায়ীরা রয়েছেন বিপাকে। টাঙ্গাইলে এবার ৯৫ হাজার পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত আছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। কিন্তু পশু বিক্রি নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন খামারীরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খামারীদের পশু বিক্রির জন্য জেলা উপজেলায় তৈরি করা হয়েছে অনলাইন পশুর হাট নামের ফেসবুক পেইজ। সেখানে কোরবানীর পশুর ছবি পোস্ট করে বিক্রি করতে পারছেন খামারীরা।

এদিকে পশু বিক্রি নিয়ে হতাশায় রয়েছে জেলার খামারীরা। ঈদ ঘনিয়ে আসলেও কোরবানীর পশু বিক্রি বাড়েনি।

জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় কোরবানী ঈদকে কেন্দ্র করে ৯৫ হাজার ২শ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৪ হাজারের অধিক। যা গত এবছর কোরবানীর জন্য ৮০ হাজার পশু প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। গরু ও মহিষ রয়েছে ৬৮ হাজার ৮১টি। আর ছাগল, ভেড়া ও গারল ২৭ হাজার ১১৯টি।

এদের মধ্যে টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় পশু রয়েছে ৭ হাজার ২৯, বাসাইলে ৫ হাজার ২৩৫, দেলদুয়ারে ৩ হাজার ৯০৪, নাগরপুরে ৬ হাজার ১৮৭, মির্জাপুরে ৩ হাজার ৬৯১, সখীপুরে ১৮হাজার ৬৫৩, কালিহাতীতে ১১ হাজার ৭৬, ঘাটাইলে ৮ হাজার ৭২৭, গোপালপুরে ৫ হাজার ১৮৫, ভুঞাপুরে ১৩ হাজার ৪২, মধুপুরে ৮ হাজার ৬৪৬, ও ধনবাড়ী উপজেলায় ৩ হাজার ৭৮৫ পশু প্রস্তুত।

উপজেলা ও জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় থেকে তৈরি করা অনলাইন পশুর হাট ফেসবুক পেইজে ১৩ হাজার পশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড হয়েছে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রানা মিয়া বলেন, করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকল্প পশুর বাজার বসিয়ে বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়া আগামী ১৭, ১৮, ১৯ জুলাই থেকে বিশেষ ট্রেনযোগে খামারীরা তাদের পশু ঢাকায় নিতে পারবেন ।

অনলাইনের মাধ্যমেও পশু কিনতে পারছেন ক্রেতারা। ছবি দেখে পছন্দ অনুযায়ী ক্রেতা তার সাধ্য অনুযায়ী পশু কিনছেন। ইতোমধ্যে ভাল বিক্রি হয়েছে। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসবে ফেসবুকে বিক্রির সংখ্যা তত বাড়বে।  এদিকে লকডাউন শিথিল করায় কিছুটা খুশি হয়েছেন সাধারণ গরু ব্যবসায়ীরা। তারা এখন হাটে গরু উঠাতে পারবেন বলে বিক্রিও বাড়বে।