• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৭, ২০২১, ০৩:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৭, ২০২১, ০৩:৫৮ পিএম

মৃত ভেবে দাফনের প্রস্তুতি, মারা গেলেন হাসপাতালে

মৃত ভেবে দাফনের প্রস্তুতি, মারা গেলেন হাসপাতালে

স্কুল মাঠে পড়ে থাকা এক ব্যক্তিকে মৃত ভেবে দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন স্থানীয়রা। পরে ৯৯৯ নাম্বার থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। ভর্তির কিছুক্ষণ পর মারা যান নাসির মন্ডল (৪৫) নামের ওই ব্যক্তি।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তিনি মারা যান। শুক্রবার রাতে উপশহর ফাঁড়ি পুলিশ তাকে পালসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে কঙ্কাল প্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাপাতালে নেন। মৃত নাসির বগুড়া শহরের পালসা (মন্ডলপাড়া) এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, নাসিরের এক সময় জমি-টাকা ছিল। নেশাসহ বিভিন্ন বাজে কাজে টাকা ব্যায় করায় নিজের ভিটে মাটিও বিক্রি করে দৈন হয়ে পড়ে। এ জন্য তার স্ত্রী এ বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে তাকে ছেড়ে চলে যায়। এরপর থেকে নাসির মানুষের কাছে ভিক্ষা করে খাবার খেতেন এবং কখনও স্কুলের বারান্দায় আবার কখনও বাস টার্মিনালে রাত যাপন করতেন। মাদক সেবী হিসেবে পরিচিত হওয়ায় এলাকার লোকজন তেমন সহযোগিতাও করতেন না। ফলে খাদ্যের অভাবে শারিরিক অবনতি হতে থাকে। তার দুই মেয়ে শহরে বিয়ে হলেও বাবার কর্মকান্ডের জন্য কেউ খোঁজ নেয় না। গত তিনদিন আগে তিনি পালসা প্রাইমারি সরকারি স্কুল মাঠে এসে থাকা শুরু করেন। শুক্রবার এশার নামাজ পরে বেশ কয়েকজন তাকে দেখতে আসে। কোন নড়াচড়া না থাকায় স্থানীয়রা তাকে মৃত ভেবে দাফনের উদ্যোগ নেন। এমন সময় এলাকার যুবক ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে মৃতদেহ পড়ে থাকার বিষয়টি জানান। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সেখান উপস্থিত হন। এসময় স্থানীয় লোকজন নাসিরের চোখে এবং মুখে পানি দিলে তিনি নড়াচড়া শুরু করেন। পরে দ্রুত তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়। ভর্তির কিছুক্ষণ পর নাসির মারা যান।

উপ-শহর পুলিশ ফাঁড়ির এস আই আব্দুর রহিম জানান, স্থানীয় এক যুবক ৯৯৯ এ কল দিলে আমরা নাসিরকে উদ্ধার করে হাপাতালে পাঠাই। এর আগে স্থানীয়রা তাকে মৃত ভেবে খাটিয়া এনে দাফনের কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। আমরা আগে জানলে হয়তো মানুষটি বেঁচে যেতো। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় তার মরদেহ আমরা পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। শুনেছি বাদ যোহর তার জানাজা হবে।