• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০২১, ০৪:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৯, ২০২১, ০৪:৪২ পিএম

সুযোগ-সুবিধার দাবি কর্মকার শিল্পীদের

সুযোগ-সুবিধার দাবি কর্মকার শিল্পীদের

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মকারদের ব্যবসা মন্দা হলেও কোরবানি ঈদের শেষ সময়ে হাতুড়ি পেটার শব্দে ঘুম ভাঙছে জয়পুরহাটের কর্মকারপাড়া ও আশাপাশের বাসিন্দাদের। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মকাররা দা, চাকু, বটি, হাসুয়া সহ পশু জবাইয়ের জন্য নানা অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত। কর্মকার শিল্পীদের অভিযোগ, করোনা ও লকডাউনে তাদের বন্ধ থাকায় সরকারের পক্ষ থেকে কোন সুযোগ সুবিধাই পাননি তারা। বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছেন এ জেলায় কর্মকার শিল্পীদের কারও নিবন্ধন নেই। এ কারণে তাদের ঋণ সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া সম্ভব হয়নি।

পশু জবাই থেকে মাংস কাটা সব কিছুতেই প্রয়োজন নানা ধারালো অস্ত্র। তাই কোরবানি ঈদের শেষ সময়ে ক্রেতাদের আনাগোনা বাড়ছে কামার পাড়ার দোকানগুলোতে। বছরের অন্য সময় কাজ কম থাকলেও কোরবানি ঈদকে ঘিরে কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে। জয়পুরহাটের বিভিন্ন এলাকার কর্মকারদের তৈরী কোরবানি পশু জবাইয়ের লোহা ও ইস্পাতের তৈরি অস্ত্রের গুনগত মান ভাল হওয়ায় এসব জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বলছেন কারিগর ও ব্যবসায়ীরা।

বিসিক সূত্রে ১৩২ টি কর্মকারশালা ও ৩৭৫ জন ব্যবসায়ী আছেন। কিন্তু স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে প্রায় ২ হাজার কারিগররা এ কাজে জড়িত আছেন।

কোরবানি ঈদে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে বিভিন্ন বটি ২০০-৫০০ টাকা, চাকু ৩০-৫৫০ টাকা, হাড্ডি কাটা দা ৩৫০-৫০০ টাকা, হাসুয়া ১০০-২৫০ টাকা। তারা বলছেন বিগত সময়ের তুলনায় দাম আগের মতোই।

কর্মকার শিল্পের কারিগর ও ব্যবসায়ী সন্তোষ চন্দ্র মহন্ত, প্রদীপ কর্মকার, রমজান আলী বলেন, কাঁচামালের দাম বেশী কিন্তু আমাদের তৈরি পণ্যের দাম বাড়েনি। বেচাকেনাও কম, লাভ হচ্ছে না। করোনার লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকায় আমরা খুব কষ্ট করে জীবিকা নির্বাহ করছি। করোনার সময় অন্যান্য কাজের সাথে লিপ্ত বিভিন্ন শ্রমিক ও কারিগররা সরকারের সুযোগ-সুবিধা পেলেও আমরা কর্মকাররা কোন সুবিধা পাইনি। আমাদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধনের বিষয়ে কিছুই জানি না। সরকারের কাছে দাবি আমাদেরকেও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হোক।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর জয়পুরহাটের উপ-ব্যবস্থাপক লিটন চন্দ্র ঘোষ বলেন, বিসিক থেকে কেউ প্রশিক্ষণ ও নিবন্ধন নিলে তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার সুযোগ আছে। এছাড়াও নিবন্ধন থাকলে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগ আছে। জেলায় সাম্ভব্য ১৩২ টি কর্মকারশালা আছে এবং ৩৭৫ জন কর্মকাররা এ ব্যবসা করেন। তবে এখন পর্যন্ত এ জেলায় কোন কামার শিল্পের কেউ নিবন্ধন করেন নি।