• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২১, ০৯:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৫, ২০২১, ০৯:২৩ এএম

পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগ চরমে

পাকা সড়কের অভাবে দুর্ভোগ চরমে

একটি সড়কের অভাবে দুই গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। টাঙ্গাইলের নাগরপুরের দপ্তিয়র ইউনিয়নের ধূনাইল-দৌলতপুর ৪ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক থাকলেও দীর্ঘদিন সংস্কার হয়নি। ফলে সারোটিয়া গাজি ও পাছ আরড়া গ্রামের মানুষ উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারছেনা। ওই দুই গ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষিপণ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য মুখ থুবরে পশ্চাৎপদ জনপদ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। 

জানা যায়, নাগরপুরের সাথে মানিকগঞ্জের (তৎকালীন ঢাকা জেলার) দৌলতপুরের যোগাযোগ স্থাপনে পাকিস্তান আমলে ধূনাইল-দৌলতপুর ভায়া সারোটিয়া গাজি ও পাছ আরড়া চার কিলোমিটার কাঁচা সড়ক নির্মাণ করা হয়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সড়কটি এখন সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদা ও শুকনো মৌসুমে ধূলায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সড়কে নাগরপুর ও দৌলতপুরকে দ্বিখন্ডিত করেছে একটি খাল। বর্ষায় বানের পানিতে খালটি পরিপূর্ণ থাকে। বাধ্য হয়ে নৌকা দিয়ে পারাপার হতে হয়। 

সারোটিয়া গাজি গ্রামের অনেকেই জানান, বৃষ্টি হলে কাঁদা আর শুকনায় ধূলার সাগর পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হয়। রিকশা, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলতে পারে না। এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীরা স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় সময়মতো যেতে পারেনা। প্রসূতিদের সময়মতো হাসপাতালে নেওয়া সম্ভব হয়না। পণ্য পরিবহনে ঘোড়া ও গরুর গাড়ির কোন বিকল্প নেই।

তারা আরও জানান, এই সড়ক দিয়ে ২ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচল। নির্বাচন এলে রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বার বার সড়কটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচিত হওয়ার পর কেউ কথা রাখেনি। 

দপ্তিয়র ইউপি চেয়ারম্যান এম ফিরোজ সিদ্দিকী জানান, গ্রাম দুটির যোগাযোগ ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত খারাপ। ইউনিয়ন পরিষদের ছোট-খাট প্রকল্প দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। 

এ বিষয়ে নাগরপুর-দেলদুয়ার আসনের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন রাস্তাটি মানিকগঞ্জের সাথে যুক্ত।  সেখানকার এমপির মহোদয়ের সাথে আমার কথা হয়েছে। সমন্বয় করে ধূনাইল-দৌলতপুর রাস্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো। যাতে জনগনের ভোগান্তি দূর হয়।

জাগরণ/এমআর