• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২১, ১২:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৬, ২০২১, ১২:১৭ পিএম

অবসরের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও জোটেনি পেনশন সুবিধা

অবসরের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও জোটেনি পেনশন সুবিধা

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মচারীর পদ থেকে অবসরের দেড় বছর পরও কপালে জোটেনি পেনশন সুবিধা। জিবনের শেষ সময়ে এসে এমন পরিস্থিতিতে একটি জরাজীর্ণ বাড়িতে পরিবার নিয়ে কোন রকম খেয়ে না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি সাইদুর রহমান। 

তার অভিযোগ,বন্দর কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্তদের অসহযোগীতা ও হয়রানির কারণে এখনও তিনি পেনশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাছাড়া তিনি পেনশন সুবিধা পাওয়ার জন্য বন্দর চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করলেও নানা জটিলতায় ফাইল বন্ধি হয়ে আটকা পড়েছে তার আবেদনটি।

লিখিত আবেদন ও ভুক্তভোগী বন্দর কর্মচারি কর্তৃক জানাযায়, ১৯৮৫ সালের ০৯ জুন মোংলা বন্দরে নিরাপর্ত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার পেড়িখালী এলাকার বাসিন্ধা সাইদুর রহমান। পরবর্তীতে ২০১০ সালে নিরাপত্তা হাবিলদার হিসেবে পদোন্নতি পান। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পেনশন স্কীম চালু হওয়ার পর ১৯৯৬ সালে ১৭ জানুয়ারী কর্মচারী প্রবিধানমালা ১৯৯৫ এর ৭(১)(খ)ধারার বিধান মতে অবসর ভাতা ও অবসর জনিত সুবিধা পাওয়ার জন্য ঘোষণা পত্র জমা দেন।এর পর অবসর জনিত সুবিধা পাইবার জন্য লিখিত আবেদনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষতে অবহিত করেন। এর পর ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে অবসর গ্রহণের পর বন্দর কর্মচারী সাইদুর রহমানকে গ্র্যাচুইটিভুক্ত কর্মচারি হিসেবে গণ্য করে গত ০৮/০৩/২০২০ তারিখ প্রশাসনিক আদেশ(২৩৫৭) জারি করা হয়। এর পর আদেশ মোতাবেক তাকে অবসরোত্তর দেনা-পাওনাদি পরিশোধ করা হয়। 

অবসর প্রাপ্ত কর্মচারি সাইদুর রহমান বলেন, মবক এর প্রবিধানমালা ও ঘোষণা পত্র মোতাবেক তিনি অবসর ভাতা ও অবসর জনিত সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হওয়া সত্বেও বন্দরের প্রশাসন বিভাগের ভুল তথ্য উপস্থাপনের কারণে তাকে গ্রাচুইটি ভুক্ত কর্মচারি হিসেবে দেনা পাওনা পরিশোধ করা হয়। এ কারণে পেনশনের পরিবর্তে গ্র্যাচুইটি প্রদানের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে গত ২০২০ সালের ২৩ আগষ্ট তারিখে বন্দর চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনটি নথি উপস্থাপন করা হলে অর্থ ও হিসাব বিভাগ এবং নিরিক্ষা বিভাগের নথির আলোকে অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী সাইদুর রহমানকে গ্র্যাচুইটি হিসেবে দেয়া অর্থ সম্মনয় করে অবশিষ্ট অর্থসহ পেনশন প্রদানের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু প্রশাসন বিভাগের কর্মশাখা তাদের ভুল ঢাকার জন্য তার দাখিলকৃত আবেদনে নানা অপ্রাসঙ্গিক তথ্য উপস্থাপন করে তাকে হয়রানী করতে থাকেন। 

সাইদুর রহমান আরো বলেন,কর্মচারিদের পেনশন চালু হওয়ার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ গ্র্যাচুইটি ভুক্ত কর্মচারীদের তালিকা তৈরি করেন। সেই তালিকায়ও তার নাম নেই। 

এ প্রসঙ্গে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (প্রশাসন) শাহীনুল আলম জানান, অবসর প্রাপ্ত কর্মচারি সাইদুর রহমানের বিষয়টি তিনি বন্দরের সকল নিয়মকানুন মেনে মানবিক বিবেচনায় দ্রুত সমাধান করবেন। কোন প্রতিবন্ধকতা থাকলে সেটি দূর করে সমাধান করা হবে। 

জাগরণ/এমআর