• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০২১, ০২:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২১, ০২:০৩ পিএম

বৃষ্টিতে মোংলার ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

বৃষ্টিতে মোংলার ৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি 

গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মোংলা পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকা। পৌরসভার চার তৃতীয়াংশ হাঁটু ও কোমর পানিতে তলিয়ে রয়েছে। শহরের রাস্তাঘাটের উপর হাঁটু পানি আর বাড়িঘরে কোমর সমান। অতিরিক্ত পানিতে তলিয়ে রয়েছে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন ও খাল। পানি নামানোর কোনো অবস্থাই নেই।

ভাটির সময় খাল দিয়ে সামান্য পানি নামলেও অতি বৃষ্টিতে তা আবার বাড়ছে। প্রায় ৩/৪ ফুট পানিতে নিমজ্জিত হয়ে রয়েছে ঘরবাড়ি। ঘরের খাটের উপরে পানি উঠে যাওয়ায় পৌরসভার পশু হাসপাতাল রোড এলাকার কয়েকশ মানুষ সরকারি বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজে আশ্রয় নিয়েছে।

জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে পশু হাসপাতাল রোড ও কামারডাঙ্গা এলাকায়। এছাড়া পৌরসভার ৩, ৪, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা পানিতে তলিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র শেখ আ. রহমান। রাতের ঝড় বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার বিকেল থেকে এখনও পর্যন্ত (বৃস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত) বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বড় বড় গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, তিন দিনের বৃষ্টিতে যে পানি হয়েছে ১৯৮৮ সালের বন্যায় এতো পানি হয়নি, তখন খাটে পানি উঠেনি, এখন খাটের উপরেও পানি। সকল ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট পানির নিচে। রান্নাবান্না বন্ধ, ঘরে থাকার উপায় নেই। তাই অনেকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।

পৌর মেয়র শেখ আ. রহমান বলেন, পুরো পৌরসভা এখন পানির নিচে। স্মরণকালের বৃষ্টিতে যে জলাবদ্ধতা হয়েছে তাতে এখন বন্যা পরিস্থতির সৃষ্টি হয়েছে। দুর্গতের জন্য খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। পানি নামার ক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর করে দ্রুত পানি সরানোর কাজ করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার বলেন, বৃষ্টিতে উপজেলার সর্বত্র তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৭ হাজার মানুষ। বৃষ্টিতে তলিয়ে ভেসে গেছে ১ হাজার ঘেরের বাগদাদ চিংড়ি ও সাদা মাছ। জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে যারা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন তাদেরকে সেখানে খাদ্যসহায়তা দেয়া হচ্ছে। 

জাগরণ/এমআর