চট্টগ্রাম নগরীতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যাত্রীবাহী বাস, হিউম্যান হলার ও টেম্পু চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সকাল থেকে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুলের শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন। বেশ কয়েকজন শ্রমিক জানান, কাউন্টার থেকে অনুমতি না দেয়ায় তারা গাড়ি চালাতে পারছেন না।
বহদ্দারহাট এলাকায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী বিপ্লব কুমার শীল। তিনি বলেন, ‘আমার অফিস বন্দরে। প্রতিদিন ১০ নম্বর গাড়িতে করে অফিসে যাই। কিন্তু আজ সকালে দেখি হঠাৎ করে গাড়ি বন্ধ। কেন বাস বন্ধ রয়েছে, কেউ কিছুই
জানে না।’
জানা গেছে, চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচ পরিবহন শ্রমিক গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কয়েকটি শ্রমিক ও পরিবহন মালিক সংগঠন অঘোষিত ধর্মঘট পালন করছে।
গণপরিবহন থাকার কারণ জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল বলেন, গতকাল বুধবার রাতে অলংকার এলাকা থেকে আমাদের ৫ জন লাইনম্যানকে আটক করা হয়েছে। পরে খবর নিয়ে জানতে পারি আটক ৫ জনকে পাহাড়তলী থানায় হস্তান্তর করেছেন র্যাব। এই খবর মালিক ও পরিবহন শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে তারা ক্ষোভে নিজ উদ্যোগে হিউম্যান হলার ও অটোটেম্পো বন্ধ রাখে। পরে সংগঠনের উদ্যোগে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় স্টেশন রোডে মালিক ও শ্রমিকদের যৌথ সভা ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে চট্টলা বাস মিনিবাস হিউম্যান হলার পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন শরীফ মিজান বলেন, অঘোষিতভাবে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে, বিষয়টি সঠিক নয়। গতকালের ৫ জন গ্রেপ্তারের ঘটনায় কেউ কেউ স্ব উদ্যোগে বন্ধ রেখেছে। তবে সব বন্ধ নয়।এ বিষয়ে স্টেশন রোডের পর্যটন হোটেলে বিকাল ৫টায় মিটিং আছে। তারপর আমরা বিস্তারিত জানাতে পারবো।
জাগরণ/এমআর