• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০১:১২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০১:১২ এএম

‘ইকবালকে পাগল সাজিয়ে প্রকৃত দুর্বৃত্তদের আড়াল করা হচ্ছে’

‘ইকবালকে পাগল সাজিয়ে প্রকৃত দুর্বৃত্তদের আড়াল করা হচ্ছে’
নিজস্ব ছবি

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে আসা ইকবালকে পাগল সাজিয়ে আসল দুর্বৃত্তদের আড়ালের অপচেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি মিলন কান্তি দত্তের। 

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বিকালে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লার মোড়ে মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ আয়োজিত সমাবেশে এ অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সারাদেশে হামলা হয়েছে। যারাই এই হামলার সঙ্গে যুক্ত হোক না কেন, সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কুমিল্লার পূজামণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখা ইকবাল হোসেনকে পাগল সাজিয়ে আসল দুর্বৃত্তদের আড়াল করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘১৯৬৯ সালে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছিল। সেই সাম্প্রদায়িক সংহিংসতা প্রতিরোধে তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাস্তায় নেমেছিলেন। কিন্তু এখনকার সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক নেতারা, প্রগতিশীল সুশীল সমাজ রাস্তায় নেই।’

সাম্প্রদায়িক হামলা প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি প্রেতাত্মা, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি সহিংসতার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এসব প্রতিরোধে রাজনৈতিক দল ও নেতাদের রাস্তায় নামতে হবে।’ 

তিনি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় জড়িতদের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মাধ্যমে বিচার ও শাস্তির দাবি জানান।

সমাবেশে কেন্দ্রীয় পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, এবারও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ আইজি সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, নিরাপত্তায় কোনও বিঘ্ন ঘটবে না। তারপরও মন্দিরে-পূজামণ্ডপে হামলা হল, অগ্নিসংযোগ হল, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হল। ‘আমরা দেখেছি, নোয়াখালীতে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা, সংসদ সদস্য, প্রশাসন সাম্প্রদায়িক সহিংসতা প্রতিরোধে এগিয়ে আসেন নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতারা কোথায় ছিলেন? আমরা সরকারের আশ্বাস প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই।’

চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি আশীষ ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক শ্যামল কুমার পালিত, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নিতাই প্রসাদ ঘোষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন ও পুলক খাস্তগীর, মহানগর পূজা পরিষদের সাবেক সভাপতি চন্দন তালুকদার সহ আরও অনেকে।

জাগরণ/এমএ/এমএ