• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২১, ১০:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০২১, ০৪:৫৭ এএম

কুমিল্লায় নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে কাউন্সিলর সহ নিহত ২

কুমিল্লায় নিজ কার্যালয়ে দুর্বৃত্তের গুলিতে কাউন্সিলর সহ নিহত ২
ছবি- জাগরণ।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ১৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, মহানগরীর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি  সৈয়দ  মো. সোহেল (৪৫) দুর্বৃত্তদের গুলিতে প্রথমে আহত হন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অস্ত্রোপচার করা হলে তিনি রাতে  রাত ৮ টা ৪০ ঘটিকায় মৃত্যুবরণ করেন।

নিহত কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল (৪৫) নগরীর পাথুরীয়াপাড়া এলাকার সৈয়দ শাহজাহানের ছেলে। তিনি  সিটি কর্পোরেশনের একসময় প্যানেল মেয়র ছিলেন।

এছাড়া একই ঘটনায় হরিপদ সাহা (৫৫) নামের এক শ্রমিকলীগ নেতা নিহত হয়েছে। তিনি নগরীর নবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

আহতরা হলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. সোহেল চৌধুরী (৩৮), সদস্য মো. বাদল (২৮), কাউন্সিলরের সহযোগী রিজু (২৩), জুয়েল (৪০) ও রাসেল (৩২) আহত হয়।

পুলিশ ও পত্যক্ষদর্শী সূত্র   জনায়, সোমবার বিকাল ৩ টা ৪৫ মিনিট  কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল নিজ কার্যালয়ে বসে কর্মীদেরকে নিয়ে একটি বৈঠক করছিলেন। এমতাবস্থায়, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী শাহ আলম এবং সুমনের নেতৃত্বে ৪টি মোটরসাইকেলযোগে ৭-৮ জন সন্ত্রাসী ওই কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। সবার চেহারা ছিল কাল কাপড়ের মুখোশধারী। কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের নিজ কার্যালয়ে ঢুকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ২ রাউন্ড গুলি করে। পরে আশংকাজনক অবস্হায়  কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) অস্ত্রপচার করা হয় কিন্ত অবস্থা গুরুতর হওয়ার কারণে রাত ৮টা ৪০ এর দিকে হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাই বাবলু,আওয়ামীলীগ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিক উল্লাহ খোকন, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক ও জেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুলাহ আল মাহমুদ সহিদ প্রমূখ। এসময় হাসপাতাল ও আশ-পাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং ঘটনাস্হল পাথুরিয়া পাড়া, সংরাইশ তেলিকোনাসহ  সকল এলাকায় থম থমে পরিবেশ বিরাজ করছে। নগরীর চকবাজার, তেলিকোনা, নুরপুর, পাথুরিয়া পাড়া, সংরাইশ, সুজানগর ওই সব এলাকার দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। 

চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ ঘন্টা পর কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল মারা যায় ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে হরিপদ সাহা মারা যান। বাকী চারজন কুমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কাউন্সিলর সোহেলে ভাগ্নে মোহাম্মদ হানিফ জানান, ‘সবাই আসরের নামাজ পড়ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ কানে আসে। গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে কাঁধে করে বের করি।’

নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া জানান, নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাউন্সিলর সোহেল দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে  ৭ কি ৮ জনের সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি চালায় তাদের দিকে। এ ঘটনায় ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়।

এলাকায় যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে  বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনোয়ার উল আজিম বলেন, সন্ত্রাসীদের গুলিতে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ আরও নিহত হয়েছেন। আমরা এ ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং ওই এলাকায় আমরা অবস্থান করছি।

 

এসকেএইচ//