• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২১, ০২:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০২১, ০২:৩৫ পিএম

গোপালগঞ্জে ইজি বাইক চালক হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

গোপালগঞ্জে ইজি বাইক চালক হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
ছবি- জাগরণ।

গোপালগঞ্জে ব্যাটারী চালিত ইজি বাইক চালক জাহিদুল ইসলাম বাবু (১৬ হত্যা মামলায় ৫ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে বিচারিক আদালত। একই সাথে ওই ৫ আসামির প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত বিচার মোঃ আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা হলো, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়ার নতুন চন গ্রামের বাবুল ফকিরের ছেলে খালিদ ফকির, আনিচ ফকিরের ছেলে মোঃ বিপুল ফকির, শুকুর মোল্লার ছেলে রাজ্জাক মোল্লা, জেলার কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের ব্যাসপুর গ্রামের মোঃ খলিল শেখের ছেলে মোঃ হাসান শেখ ও নড়াইল জেলার লোহাগড়া চাচাই গ্রামের উপজেলার মোঃ খোকন মোল্লার ছেলে মোঃ ফসিয়ার মোল্লা। আসামীরা সবাই পলাতক রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর খালিদ ফকির তার ব্যবহৃত সেলফোন থেকে ফোন করে জাহিদুল ইসলাম বাবুকে জেলা শহরের কাচাঁ বাজার সংলগ্ন মেইন রোডে আসতে বলে। পরে ইজি বাইক চালক জাহিদুল ইসলাম বাবু সদর উপজেলার গোলাবাড়ীয়া বাড়ি থেকে আসে। এরপর থেকে ইজি বাইক চালক জাহিদুল ইসলাম নিখোঁজ থাকে। একই বছরের ২ অক্টোবর পুলিশ ঢাকা খুলনা মহাসড়কের ভুলবাড়ীয়া ব্রীজের সড়কের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। ওই দিন জাহিদুল ইসলাম বাবুর পিতা মোঃ নজরুল মোল্লা বাদী হয়ে খালিদ ফকির ও রাজ্জাক মোল্লাকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করে এবং তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোঃ হাসান শেখের বাড়ি থেকে ইজবাইকটি উদ্ধার করে। এরপর পুলিশ ৫ জনকে আসামি করে আদালতে চাজর্শীট দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত ওই ৫ আসামিকে মৃত্যুদন্ড ও প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।

আদালতে সরকার পক্ষে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোঃ শহিদুজ্জামান খান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট মোঃ ফজলুল রহমান খান মামলাটি পরিচালনা করেন|

মামলার বাদী ও নিহতের পিতা মোঃ নজরুল মোল্লা বলেন, আমার ছেলেকে এই ৫ জনে হত্যা করেছে। দীর্ঘ দিন পর আমি ছেলে হত্যার বিচার পেয়েছি। এ রায়ে আমি ও আমার পরিবার খুশি। আমাদের দাবী দ্রুত এ রায় দ্রুত কার্যকর করা হোক। যাতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করতে সাহস না পায় এবং কেউ যেন তার সন্তানকে এ ভাবে না হারায়।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মোঃ মোক্তার আলী বলেছন, এ রায়ের মাধ্যমে এ পরিবারটি ন্যায্য বিচার পেয়েছে। আশাকরি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল থাকবে এবং রায় কার্যকর হবে।

 

এসকেএইচ//