• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২১, ১০:৪৪ এএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ৩, ২০২১, ১০:৪৪ এএম

মিনতিকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে মানবতার স্বাক্ষর রাখল ‘মারোত’

মিনতিকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে  মানবতার স্বাক্ষর রাখল ‘মারোত’
ছবি- জাগরণ।

দুই বছর আগে পরিবার থেকে হারিয়ে যাওয়া দিনাজপুরের মিনতি বর্মনকে টেকনাফে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছে সেবামূলক অরাজনৈতিক সংগঠন ‘মারোত’। এটি মারোতের ৩৪তম মানসিক রোগী পরিবারের নিকট হস্তান্তর।

মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী মিনতি বর্মন। বয়স আনুমানিক ৪৫। মাতা মালতি বর্মন, পিতা যতীন বর্মন। গ্রাম-পানান, ডাকঘর রাজরামপুর, থানা ফুলবাড়ি, জেলা দিনাজপুর। ভাই বোন আটজন, পাঁচ বোন, তিন ভাই। মিনতি বর্মন পরিবার থেকে হারিয়ে যায় দুই বছর আগে। ঘুরতে ঘুরতে টেকনাফ চলে আসে।  

মানসিক রোগিদের তহবিল (মারোত) এর নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ১ ডিসেম্বর বুধবার রাতে মিনতিকে তার ভাই হৃদয় বর্মন এর হাতে দীর্ঘ দুই বছর পর অনাড়ম্বর অনুষ্টানের মাধ্যমে তুলে দেয়া হয়। এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবরাং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল ফয়েজ। মিনতিকে পেয়ে তার পরিবার মারোত এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙ্গে মারোত কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া বলেন, ‘২০ নভেম্বর মিনতি আমার চেম্বারের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। দেখেই তাকে মানসিক রোগী বলে সন্দেহ হয়। ডাক দিলাম সে আমার চেম্বারের সামনে এসে দাঁড়াল। আমি তাকে নাম ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে উক্ত নামগুলো সে বলে এবং সাথে সাথে চলে যায়। রাতের বেলা আমি তার নাম ঠিকানাগুলো নিয়ে গুগলে দেখে তার দেয়া নাম ঠিকানা গ্রাম সব মিল দেখে ফুলবাড়িয়া থানার ওসি তদন্ত এর কাছে যোগাযোগ করি। তিনি তাদের বাড়িতে চৌকিদার পাঠিয়ে আমার সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেন। পরিবার থেকে বলা হয় দুই বছর আগে আমাদের বোন হারিয়ে গেছে। আমরা তাকে অনেক খুঁজেছি, কিন্ত পাইনি। আপনারা দয়া করে একটু ওকে ধরে রাখেন। আমরা নিয়ে আসব। কিন্তু এরপর কয়েকদিন খোঁজাখুঁজির পরও মিনতিকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে ২৭ নভেম্বর পাওয়া যায়। আমি তাদেরকে ফোনে জানালে তারা আসার জন্য চেষ্টা করলেও টাকা-পয়সার অভাবে আসতে পারেনি। আমি তাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলাম তারা আসলে যাওয়ার গাড়ি ভাড়াটুকু আমি দেব। সেই আশা বুকে নিয়ে তারা টেকনাফে আসেন। এই কয়েকটি দিন মারোত সদস্য রাশেদ নিজ পরিবারের সদস্য হিসেবে মিনতির সেবা করেছেন।’

মারোত কেন্দ্রীয় সভাপতি আবু সুফিয়ান, মারোত সেবা কেন্দ্রের আহবায়ক ফেরদৌস ইসলাম, সহ-সভাপতি ঝুন্টু বড়ুয়া, মারোত যুগ্ন সম্পাদক মোবারক হোসেন ভুইয়া, রাশেদুল ইসলাম,  আবদুল মাজেদ, অনিমেষ বড়ুয়াসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

এসকেএইচ//