• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০১৯, ০৯:৩৮ পিএম

নবাবগঞ্জের অধিকাংশ খাল ও নদীর অংশ প্রভাবশালীদের দখলে

নবাবগঞ্জের অধিকাংশ খাল ও নদীর অংশ প্রভাবশালীদের দখলে

 

ঢাকার নবাবগঞ্জে ১৪টি ইউনিয়নের অধিকাংশ খাল, বিল প্রভাবশালীরা দখল করে নেওয়ার তার অস্বীত্ব হারিয়ে গেছে। এখন দখল করা হচ্ছে নদীর বিভিন্ন অংশ। একই সঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন হাট-বাজারের ব্যবসায়ীরা ইছামতি নদীতে বর্জ্য ফেলার কারনে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হারিয়ে যাচ্ছে দেশিয় প্রজাতীর মাছ ও বিভিন্ন জলজ প্রাণী।

এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, খালগুলো পুনরুদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ নেই। ফলে বর্ষা মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এছাড়াও উপজেলা সদরের কলাকোপা ইউনিয়নে অবস্থিত বননগর, কলাকোপা, রাজপাড়া এলাকা দিয়ে প্রবাহিত সরকারি খাল এখন দখল ও দূষণের শিকার। দীর্ঘ সময় খালটি খনন না করায় এক শ্রেণির রাজনীতিবীদ, ব্যবসায়ী, ও প্রভাবশালীরা বিভিন্ন কৌশলে খালের গতি পথ রোধ করে আবাস স্থল নির্মান করেছেন। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সব শ্রেণির জলাশয়। তাছাড়া অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন জলাশয় ভরাট করার কারণে মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বর্ষা ও বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রাকৃতিক খালগুলো পুনরুদ্ধারে জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কোনো উদ্যোগও নেই বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার কৈলাইল সোনারগাঁও, কাটাখালি দিয়ে প্রভাহিত খালটি এর মধ্যে প্রায় দখল হয়ে গেছে। খালের জায়গা দখল করে সেখানে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে খালটি এখন সরু হয়ে কোনো রকম টিকে আছে।

উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহিদ হায়দার উজ্জ্বল জানান, উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ইছামতি নদীর বিভিন্ন অংশ দখল করে নিচ্ছে এলাকার  প্রভাবশালী মহল। মাঝে মধ্যে নদী কমিশনের লোক আসলেও দখল উচ্ছেদে তাদের কোনো কার্যক্রম নেই।বলে জানান ।

জাতীয় কৃষক সমিতির নেতা মো. আসলাম খান জানান,  নবাবগঞ্জের অধিকাংশ খাল-জলাশয়ে অবৈধ স্থাপনা ও বাড়িঘর নির্মাণ করে দখল করা হচ্ছে। এছাড়াও বিষাক্ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে ইছমতি নদীতে। ফলে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে। আর পানি দূষিত হওয়ার এলাবাসী মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছে।

নদীর এই দূষিত পানির কারনে বাসিন্দারা পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। এক সময়ের খরস্র্রোতা ইছামতি এখন দখল ও দূষণের কারণে মৃতপ্রায়। প্রশাসনকে একাধিকবার বিষয়টি জানানো হলেও এ পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, নদ-নদী ও খালে যে সব প্রতিষ্ঠান দখল ও দূষণ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে অচিরেই অভিযান শুরু হবে। তাছাড়া নদী পুনরুদ্ধারে বর্তমান সরকারের নদী কমিশন কাজ করছে। সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবেই নদী ও খাল রক্ষা পাবে

এসসি/