• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০১৯, ০৯:০৩ এএম

ঘুরে আসুন প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাইক্কা বিল

ঘুরে আসুন প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাইক্কা বিল
প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাইক্কা বিল, ছবি: জাগরণ


প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের বাইক্কা বিল। শীত মৌসুমে বাইক্কা বিলে পর্যটক আসেন অতিথি পাখি দেখতে। এসময় বাইক্কা বিলে পর্যটকের ঢল নামে। বর্তমানে বাইক্কা বিলে অতিথি পাখির আগমণে ভরপুর। অতিথি পাখি দেখতে ঘুরে আসতে পারেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি বাইক্কা বিলে।

পাখির কিচিরমিচির শব্দ, ঝাঁক বেঁধে উড়ে বেড়ানো ও বিলের পানিতে ঝাঁপাঝাঁপি এ যেন অন্যরকম সৌন্দর্যে সেজেছে বিলটি। এসব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য পর্যটক। আর এসব অতিথি পাখি ও বিলের সৌন্দর্য্য অবলোকন করতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছেন শতশত দর্শনার্থী। বিলের সৌন্দর্য্য রক্ষায় বাইক্কা বিল প্রকল্প চালু, বিল খনন করাসহ বিলের আয়তন বৃদ্ধির দাবী উঠেছে।

জেলা সদর থেকে বাইক্কা বিল যেতে লোকাল কোন গাড়ি নেই। সেখানে পর্যটকদের যেতে হলে ভাড়া করা গাড়িতে যেতে হয়। তবে ঘাটের বাজার পর্যন্ত সড়ক ভালো থাকলেও বাইক্কা বিল যেতে বাকী পথ ভালো নয়। অনেক জায়গায় সড়কে পিচ উঠে গিয়ে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। এবং সড়কের কিছু অংশ রয়েছে কাঁচা।

বাইক্কা বিলে আসা পর্যটক মুস্তাকিম আহমদের জানান, বিলে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি দেখে আমি মুগ্ধ। বিলের ধারের সবুজ বাগান প্রকৃতি প্রেমীদের আনন্দ দেয়। একই কথা বলেন, বাইক্কা বিলে আসা কামরুল ইসলাম, হাসান আহমদ, ওমর ফারুকসহ আরো কয়েকজন।

সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী বাইক্কা বিলে প্রায় ৮২ প্রজাতির মাছ ও ১৮৭ প্রজাতির পাখির অভয়াশ্রম। হাইল হাওরের প্রায় ১শত হেক্টর আয়তনের এই জলাভূমি। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় এই বিল মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। আইড়, মেনি, কই, ফলি, পাবদা, বোয়াল, রুই, গজারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আছে এখানে। শুধু মাছই নয়, নানান রকম দেশি আর পরিযায়ী পাখিরও অভয়াশ্রম এই বিল।

মাছের অভয়াশ্রম ঘোষণার পূর্বে ২০০২ সালের এক সার্ভে অনুযায়ী হাইল হাওরের অবস্থিত বাইক্কা বিলে প্রতি হেক্টরে ১৬০ কেজি মাছ উৎপাদন হতো, সর্বশেষ ২০১৬ সালের সার্ভে অনুযায়ী তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি হেক্টরে ৩৮৯ কেজি মাছ। যা দ্বিগুনের চেয়েও বেশি।

বাইক্কা বিলের ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত থাকা সমাজ ভিত্তিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন বড় গাঙ্গিনার সাধারণ সম্পাদক মিন্নত আলী জানালেন, এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রাখতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে সকলের সহযোগীতা ও সচেতনতার প্রয়োজন।

তিনি হাওরে মাছ বৃদ্ধির জন্য বেশি করে গভীর অভয়াশ্রম ও পাখির নিরাপদ নিবাসের জন্য বনায়নের গুরুত্বারোপ করেন।

টিএফ