• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯, ১০:২৩ এএম

পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তোলন বন্ধ ১২ দিন

পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তোলন বন্ধ ১২ দিন

 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ রয়েছে ১২ দিন। গত ২১ জানুয়ারি ১৩১৪ নম্বর কোল ফেইজের কয়লার মজুদ শেষ হয়ে গেলে কয়লা উত্তোলন পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে নতুন ১৩০৮ নম্বর ফেইজ থেকে কয়লার উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি চলছে।

খনি সূত্রে জানা যায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৩১৪ নম্বর ফেইজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৩০৮ নম্বর ফেজে স্থাপন করে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু করা হবে। এর জন্য সময় লাগতে পারে ৪০ থেকে ৪৫ দিন। বন্ধ হয়ে যাওয়া ১৩১৪ নম্বর কোল ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছিল গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাত থেকে। এ ফেইজ থেকে কয়লা উৎপাদন হয়েছে ২ লাখ ৮০ হাজার মে. টন। বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) পর্যন্ত খনির কোল ইয়ার্ডে কয়লার মজুদ রয়েছে ৯ থেকে ১০ হাজার মে. টন।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিওলজি/জনসংযোগ কর্মকর্তা) এ.কে.এম বদরুল আলম বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ করে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে নতুন ১৩০৮ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে। কয়লা উৎপাদন বন্ধ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাছাড়া এ সময়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্রটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। এজন্য কয়লার উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের এ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ ইঞ্জিনিয়ার মোহসীনুল ফিরোজ বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৩টি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট বর্তমানে সচল রয়েছে। ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ৩ নম্বর এ ইউনিটটি সচল থাকলেও বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১৫০ থেকে ১৬০ মেগাওয়াট। এর জন্য প্রতিদিন কয়লার প্রয়োজন হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৬০০ মে. টন। কয়লা খনি থেকে সরবরাহ পাওয়া কয়লার মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইয়ার্ডে বর্তমানে মজুদ রয়েছে সর্বোচ্চ ৯৫ হাজার মে. টন।
নির্বাচনের আগে গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বন্ধ থাকা ২ নম্বর ইউনিট চালু করা হলেও বৃহস্পতিবার সেটি বন্ধ হয়ে যায়। আসছে সেচ মৌসুমের জন্য ২ নম্বর ইউনিটটি চালুর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে কয়লা খনি থেকে কয়লা সরবরাহ না পেলে এ ইউনিটটি চালু রাখা সম্ভব হবে না। সচল থাকা অবস্থায় এ ইউনিট থেকে ৬০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপাদন হতো। দীর্ঘ ১৪ বছর আগে ২০০৫ সালে এ ইউনিটটি চালু করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনেও ওভারহোলিং না হওয়ায় উৎপাদন সক্ষমতা কমে যায়। প্রতিটি ইউনিট ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে নতুন করে ওভারহোলিং করতে হয়। অন্যদিকে ওভার হোলিং কাজের জন্য ২০১৭ সালের ৭ অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে ১নং ইউনিট।

এসসি/