• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ০১:০০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২, ০১:০০ এএম

রহিমা বেগমের আত্মগোপন জানত পরিবার

রহিমা বেগমের আত্মগোপন জানত পরিবার
সংগৃহীত ছবি

খুলনার আলোচিত রহিমা বেগমকে কথিত অপহরণ মামলার তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। অপহরণ নয়, জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বেচ্ছায় আত্মগোপন করেছিলেন তিনি; যা পরিবারের সদস্যরাও জানতেন।

এ-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। শিগগিরই প্রতিবেদন দেয়া হবে।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, স্বল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। বুধবারই রহিমাকে ফরিদপুরে আশ্রয়দাতা আবদুল কুদ্দুস মোল্লার ছেলে আলামিন ও তার ভাগনে জয়নাল আবেদিন জামাল আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ২৭ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ফরিদপুরে পাঠানো হয়েছিল।

ফরিদপুরের বোয়ালমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান লিখিত প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে- রহিমা বেগম তার কাছে গিয়ে জন্মস্থান বোয়ালমারীর ইসলামপুর উল্লেখ করে জন্মনিবন্ধন সনদ করাতে চেয়েছিলেন। বাগেরহাটে থেকে তিনি গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন বলেও জানান।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে রহিমা বেগমের আত্মগোপনের সময় তার দ্বিতীয় স্বামী বেলাল হাওলাদার ওই বাড়িতে ছিলেন।

রহিমা বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর তার ওড়না, স্যান্ডেল ও পানির বালতি বেলাল বাড়ির সামনে রেখে নিখোঁজের কথা ভাড়াটিয়াদের জানান। নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্য, রহিমার আত্মগোপনের বিষয় তার স্বামী জানলেও মুখ খোলেননি। এ জন্য তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

রহিমা বেগমের কথিত অপহরণ রহস্য উদ্ঘাটন করা গেছে। এ জন্য গ্রেফতার পাঁচজনকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না বলে জানান তিনি।

পিবিআই বলছে, রহিমা বেগম প্রথমে বান্দরবান সদরের ইসলামপুর গ্রামে গিয়ে মনি বেগমের আশ্রয়ে ছিলেন। দু-একদিনের মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক আবদুল মান্নান বান্দরবানে গিয়ে মনি বেগমসহ সংশ্নিষ্টদের বক্তব্য নেবেন।

গত ২৭ আগস্ট খুলনা নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ি থেকে রহিমা বেগম রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তার মেয়ে আদুরি আকতার বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর পুলিশ রহিমা বেগমকে ফরিদপুর থেকে উদ্ধার করে।

জাগরণ/স্বদেশ/এসএসকে