• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: অক্টোবর ১১, ২০২২, ১১:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১১, ২০২২, ১১:৫৩ পিএম

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত

আকাশে ড্রোনের চক্কর, মুহুর্মুহু গুলিতে আতঙ্ক

আকাশে ড্রোনের চক্কর, মুহুর্মুহু গুলিতে আতঙ্ক
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আবারও গোলাগুলির শব্দে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। প্রায় ১৫ দিন পর সোমবার (১০ অক্টোবর) রাত থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কয়েক দফা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রু এবং কপবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে ভারী গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার কথা জানান স্থানীয়রা।

তাদের ভাষ্য, গোলাগুলির আগে আকাশে ড্রোনের চক্কর ও হেলিকপ্টার উড়তে দেখেছেন তারা।

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘মাঝে বেশ কিছুদিন গোলাগুলি বন্ধ ছিল। সোমবার রাত থেকে আবারও ভারী গোলাবারুদের শব্দ শুনতে পেয়েছি। অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা আকাশে হেলিকপ্টার ও ড্রোন উড়তে দেখছেন, তার পরই গুলি করা হচ্ছে। সীমান্তে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জেলা শহর মংডুর আশপাশের এলাকায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী 'আরাকান আর্মি'র (এএ) যুদ্ধ চলছে। এরই প্রভাবে আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেড় মাসের বেশি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে মর্টার শেল ও গোলাগুলি হয়। এতে এক রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়। সীমান্তের এপারে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়।

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা সৈয়দ বলেন, ‘নাফ নদের ওপারে আকাশে এখন যুদ্ধবিমান ও ড্রোন দেখা যায়। প্রথমে ড্রোন চক্কর দেয়। তার পর গুলি শব্দ শোনা যায়।’ তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দা মাহামুদুল হক বলেন, ‘রোববার (৯ অক্টোবর) রাতে তুমব্রু সীমান্তবর্তী হেডম্যানপাড়া, বাইশফাঁড়ি, ঢেকুবনিয়া, গর্জনিয়া, বাজারপাড়ায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এসব কবে শেষ হবে জানি না।’

নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা দিল মোহাম্মদ বলেন, শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের আতঙ্ক কবে শেষ হবে আল্লাহই ভালো জানেন। স্থলমাইন বিস্ফোরণ নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হওয়ায় সবাই উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন।

জাগরণ/স্বদেশ/এসএসকে