• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯, ০৯:০৭ এএম

সোনারগাঁওয়ে ফসলি জমির মাটি লুট করে ইট ভাটায় বিক্রি

সোনারগাঁওয়ে ফসলি জমির মাটি লুট করে ইট ভাটায় বিক্রি
সোনারগাঁওয়ে ভেকু দিয়ে জোরপূর্বক কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে -ফাইল ছবি

 

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের সিংলাব ও পাকুন্দা এলাকায় কৃষকদের ফসলি জমির মাটি জোরপূর্বকভাবে লুট করে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। কৃষকরা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেও কোনো ফল পাচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। 

জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হা-মীম শিকদার শিপলুর পরোক্ষ নেতৃত্বে সিংলাব এলাকায় লুৎফর হোসেন, ফারুক হোসেন ও পাকুন্দা এলাকায় সোরাব হোসেন ও সাগর চৌধুরীসহ ২০/২৫ জনের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট প্রায় ৭শ বিঘা ফসলি কৃষি জমির মাটি জোরপূর্বক কেটে নিয়ে ইটভাটায় চড়া দামে বিক্রি করছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সিংলাব ও পাকুন্দা এলাকায় কৃষকদের ফসলি জমির মাটি জোরপূর্বক ভেকু দিয়ে পুকুরের মতো কেটে ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন ইট ভাটায় নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তাদের এ মাটি কাটায় যাতে কেউ বাধা না দেয় সেজন্য মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বাহিনী মহড়া দিয়ে যাচ্ছে। 

সোনারগাঁওয়ে কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে ট্রাক ভর্তি করে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা -ফাইল ছবি 

স্থানীয় জমির মালিক ও কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি জমির মাটি এতটাই গভীর করে কেটে নিয়ে যায় যে কেউ দেখলে পুকুর না বলে উপায় থাকবেনা। তাদের মতে প্রতিটি জমি ভেকু দিয়ে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ ফুট গর্ত করে কেটে নিচ্ছে মাটি সন্ত্রাসীরা। ফলে পাশের জমির মাটি স্বভাবতই ওই গর্তে পড়ে যায় এবং তা বিনা টাকায় ও বিনা অনুমতিতে নিয়ে যায় তারা। ফলে অনেক জমির মালিক বাধ্য হয়েই মাটি বিক্রি করতে হচ্ছে।

ফসলি জমি রক্ষায় স্থানীয় ভুক্তভোগী কৃষকেরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও প্রশাসন সহ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে গিয়েও কোন সুফল পায়নি। বর্তমানে ফসলি জমি পরিণত হচ্ছে ডোবা ও পুকুরে। ফলে সর্বশান্ত হচ্ছে কৃষকরা। কোন কৃষক মাটি সন্ত্রাসীদের কাছে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করতে অস্বীকার করলে তারা রাতের আধারে জোরপূর্বক মাটি কেটে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু, সাগর চৌধুরী ও সোরাব হোসেন জানান, আমরা কারো জমির মাটি জোরপূর্বক কাটি না। কৃষককের জমির মাটি সঠিক দাম দিয়ে ক্রয় করে ইট ভাটায় বিক্রি করি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীনুর ইসলাম জানান, ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় বিক্রি করতে দেয়া হবেনা। সরেজমিনে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করব। 

এএস/