• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯, ০৭:৪৭ পিএম

ভুয়া মহিলা ডাক্তারের ৬ মাসের সাজা 

ভুয়া মহিলা ডাক্তারের ৬ মাসের সাজা 
ভুয়া ডাক্তার ফাহমিদা আলম- ছবি : জাগরণ


নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এম হোসেন জেনারেল হাসপাতাল নামে একটি অনুমোদনবিহীন প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। অনুমোদন না থাকায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ডা. ফাহমিদা আলম নামধারী এক ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেফতার করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।

র‌্যাবের মিডিয়া উইং এর এসপি মিজানুর রহমান বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) জানান, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন কদমতলী পুল এলাকার এম হোসেন জেনারেল হাসপাতালে রোগী দেখার সময় ভুয়া ডাক্তার ফাহমিদা আলম (২৫) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ফাহমিদা আলম দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে ‘বিশেষজ্ঞ ডাক্তার’ পরিচয় দিয়ে এই হাসপাতালে নিয়মিত রোগী দেখে আসছিল। তার নামের পাশে ডাক্তারি ডিগ্রি হিসেবে, নিজেকে ডা. ফাহমিদা আলম এমবিবিএস, পিজিটি (গাইনি অ্যান্ড অবস), এমসিএইচ (ডিএসএইচ) সিএমইউ, ডিএমইউ মেডিসিন গাইনি ও শিশু রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ ও সনোলজিষ্ট হিসেবে প্রেসক্রিপশন ফরমে উল্লেখ করেছে। রোগী দেখার নাম করে বিভিন্ন প্রকার প্যাথোলজিক্যাল টেষ্ট দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়। 

এসপি মিজান আরও জানান, নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে তার সনদ দেখতে চাইলে সেই কোনও সনদ দেখাতে পারে নি। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ম্যাটস থেকে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করা ফাহমিদা আলম হাসপাতালে আলট্রাসনোর টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি নেয়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সে পরষ্পর যোগসাজসে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখা শুরু করে। এভাবে সে রোগীদের সাথে  দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছে।   

এই ভুয়া মহিলা ডাক্তারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ফাহমিদা আলমকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নির্দেশে এম হোসেন জেনারেল হাসপাতালকে বন্ধ করে দেয়া হয়। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

আরআর/এসএমএম