• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯, ০৩:৪১ পিএম

ফুলের মাঝে প্রস্ফুটিত কৃষকের স্বপ্ন

ফুলের মাঝে প্রস্ফুটিত কৃষকের স্বপ্ন
লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করেছেন মুন্সিগঞ্জের চাষিরা –ছবি :জাগরণ

 

ফুল নামটির মধ্যে রয়েছে শুদ্ধতা ভালোবাসা। ফুল ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রিয় মানুষকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারাটা সত্যিই আনন্দের। যেকোনো উৎসব আয়োজন থেকে শুরু করে বিশেষ দিনগুলোতে প্রিয় জনকে ফুল উপহার দেয়ার প্রচলন যুগ যুগ ধরে। অতিথি আপ্যায়নে, বিয়ে, জন্মদিনসহ নানা অনুষ্ঠানে ফুলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফুলের চাহিদাও। দেশে দিন দিন বাড়ছে নানা জাতের ফুলের আবাদ। 

উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ শুরু করেছেন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পুরাপারা এলাকার ফুল চাষি মোজাম্মেল হক।তিনি বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেশে ফুলের ব্যাপক চাহিদা দেখে প্রথমে ছোট পরিসরে বিভিন্ন ফুলের চাষ শুরু করেন। পরে সফলতা আসায় আরও বড় পরিসরে জারবেরা, স্নোবল ও গ্লাডিওলাস ফুলের চাষ শুরু করেন তিনি। 

ফুল চাষি মোজাম্মেল হক জানান,প্রবাস থেকে আসার পর ২০০৪ সাল থেকে শখের বসে প্রথমে গোলাপ ফুলের চাষ শুরু করলে পরে লোকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে স্নোবল ও গ্লাডিওলাস ফুলের চাড়া আনেন। উৎপাদন লাভজনক হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এসব ফুল চাষ করছেন তিনি। 

তিনি আরও জানান, প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ফুল নিয়ে যান ঢাকার শাহবাগসহ দেশের বিভিন্ন ফুল মার্কেটে। প্রতিটি ফুল ৫ থেকে ৭ টাকায় বিক্রি করেন তিনি। ফুল চাষ লাভজনক হওয়ায় পরিবার নিয়ে স্বচ্ছ্ল জীবনযাপন করছেন তিনি। সরকারিভাবে সহায়তা পেলে আগামীতে আরও ব্যাপকভাবে ফুল চাষের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

উৎপাদনে লাভজনক হওয়ায় ফুল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন জেলার অনেকেই। ফুল চাষি শ্রমিক আরিফুল জানান, সারা বছরই ফুল চাষ করা হয়। আমারসহ ফুল চাষে কর্মসংস্থান হওয়া শ্রমিকের পরিবারগুলোও চলছে ভালোভাবে।

মুন্সিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. হুমুয়ুন কবীর জানান, আগামীতেও মুন্সীগঞ্জের চাষিরা ফুল চাষে আগ্রহী হবে। আমরা উৎপাদনে লাভজনক, চাষে আগ্রহী চাষিদের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি।

এনএ