• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯, ০২:৩৭ পিএম

হাতের কব্জি দিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছেন সাকিব

হাতের কব্জি দিয়েই পরীক্ষা দিচ্ছেন সাকিব

 

প্রতিবন্ধী নাজমুস সাকিব। দুই হাতের কব্জি নেই। ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশও নেই। জন্ম থেকে এ অবস্থা। কিন্তু অদম্য শক্তি তাকে এখন পর্যন্ত আটকে রাখতে পারেনি। কিশোর দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মন্মথপুর কো-অপারেটিভ হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। তার পরীক্ষার কেন্দ্র যশাই উচ্চ বিদ্যালয়।

সরেজমিন পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, অদম্য কিশোর কব্জিবিহীন দুই হাতের মাঝখানে কলম চেপে ধরে প্রশ্নের উত্তর লিখে চলেছে। নাজমুস সাকিবের বয়স ১৬। বাবার নাম আজিম উদ্দীন। মায়ের নাম হোসনে আরা। বাড়ি মমিনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর সরদারপাড়া গ্রামে। বাবা আজিম উদ্দীন হচ্ছেন একজন প্রান্তিক চাষি। সাকিবেরা তিন ভাই, বোন নেই। তার বড় ভাইয়ের নাম রোকনুজ্জামান। সে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি বিভাগের ২য় বর্ষে অধ্যায়ন করছে। দ্বিতীয় ভাই আখেরুজ্জামান দিনাজপুর সরকারি পলিটেকনিক্যাল কলেজে মেকানিক্যাল বিষয়ের ডিপ্লোমার শেষ বর্ষের ছাত্র।

নাজমুস সাকিব বলেন, জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪.৪০ পয়েন্ট পেয়ে সে উত্তীর্ণ হয়। এসএসসি তে সে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষা দিলেও আগামীতে মানবিক বিভাগে পড়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। সেই সাথে সাংবাদিকতা বিভাগে সম্মান ও মাস্টার্স করে একজন বড় মাপের সাংবাদিক হতে চায়।

সাকিবের বাবা আজিম উদ্দীন বলেন, আমার এ ছেলেকে নিয়ে ছোট বেলা থেকেই দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ৫ বছর বয়সে সে হাঁটা শেখে। এর পর তাকে দেয়া হয় ব্রাক স্কুলে। সেখান থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করলে মন্মথপুর কো-অপারেটিভ হাইস্কুলে ভর্তি করি। পরবর্তীতে জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এবারে সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। স্থানীয় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা সংস্থা কাম টু ওয়ার্ক এর আর্থিক সহায়তায় সাকিব লেখাপড়া করছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মন্মমথপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ বলেন, নাজমুস সাকিব তার স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে পড়ে আসছে। জেএসসিতে সে ভালো ফল করেছে। এসএসসিতেও সে ভালো করবে বলে তিনি আশা করেন।

খ.তা/